আবারো লকডাউন বাড়তে পারে!

স্টাফ রিপোর্টার :: চলমান লকডাউন শেষে ঈদের আগে ৩ টি কর্ম দিবস থাকায় আবারো লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছেন সরকার। পাশাপাশি সীমিত পরিসরে গণপরিবহণ চলাচলের বিষয়টিও চিন্তাভাবনা চলছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

দেখা গেছে, আগামী ৫ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে বৃহস্পতিবার (৬ মে), রোববার (৯ মে) ও মঙ্গলবার (১১ মে )। আর ৭ ও ৮ মে (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সোমবার (১০ মে) শবে কদরের ছুটি। আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি।

তবে রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তাহলে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে’ও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরো একদিন বাড়বে। এক্ষেত্রে ১৫ মে (শনিবার) দিনটিও ছুটি থাকবে। এ হিসেবে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে তিনটি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে কিছু শর্ত শিথিল করে বিধিনিষেধ বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে চলমান বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ের ওপর আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে যে, আমরা কী করব। আমরা ৫ তারিখের আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে কর্মদিবস কম থাকায় বিধিনিষেধ চলমান রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দেয়া হতে পারে বলেও সুত্রে জানা গেছে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হয়। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরেক দফায় তা বাড়িয়ে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এটি তৃতীয় দফায় বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। সবশেষ বিধিনিষেধ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

 

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।

এগুলো দেখুন

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইসলামি শরিয়াহ আইন

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইসলামি শরিয়াহ আইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: উগান্ডায় প্রচলিত আইন থেকে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইসলামি শরিয়াহ আইন। সাফিনা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *