আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: পামাণবিক সক্ষমতা আরো বাড়াতে ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করছেন ইরান। যা ইরানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের রেকর্ড হতে চলেছে। আজ (বুধবার) থেকে এই মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন ইরানের শীর্ষ পরমাণু আলোচক এবং উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সায়িদ আব্বাস আরাকচি। আলজাজিরা, রয়টার্স।
আরো পড়ুণ: আজ থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু, মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
আরো পড়ুণ: প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন
আরো দেখুণ: নবনীর আগমনে – সুমাইয়া শাহরীন
আজ (মঙ্গলবার) ইরানের প্রেস টিভিকে তিনি জানান, ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পরিকল্পনার বিষয়টি তার দেশ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’কে জানান। আব্বাস আরাকচি বলেন, নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্ট্রিফিউজগুলো পরিবর্তন করার পাশাপাশি ইরান বাড়তি আরো ১ হাজার সেন্ট্রিফিউজ বসাবে। সেগুলো শতকরা ৫০ ভাগ বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম।
আব্বাস আরাকচি বর্তমানে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থান করছেন। সেখানে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনতে আরেক দফা আলোচনা হওয়ার কথা আছে। ইরান মনে করে, তেহরানের ওপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই যুক্তরাষ্ট্র কেবল পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে পারে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী হোসেইনি খামেনি বলেন, দেশের প্রয়োজনে পরমাণু সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ কারণে আমাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং যত মাত্রা প্রয়োজন হবে তত মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ পামাণবিক প্রযুক্তি বা অন্য কোনো কাজে আমাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা শতকরা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে।
খামেনি সে সময় দাবি করেন, এর অর্থ এই নয় যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়। ইসরায়েল এবং পশ্চিমা দেশগুলোও এটা জানে। কিন্তু ইরানের ওপর বলপ্রয়োগ করতে এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে চায় তারা।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলেও এখানে ক্লিক করুণ।