স্বাস্থ্য ডেস্ক :: সারাদেশে চলমান কড়াকড়ি লকডাউনের সুফল আসছে। লকডাউনের কারণে কোভিড-১৯তে শনাক্তের হার ধীরে ধীরে কমছে। তবে মৃত্যু অপরিবর্তিত রয়েছে। গত কিছুদিন ধরে দেশে কোভিড-১৯তে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ এর কাছাকাছি অবস্থান করছে।
গত এক সপ্তাহে করোনার শনাক্ত কমেছে ৯.২৯ শতাংশ। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণের কারণে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হয়েছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা গেলে শনাক্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসবে। একই সঙ্গে মৃত্যুর হারও কমে আসবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) কোভিড শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এটি কমে সপ্তাহের শেষ দিন আজ (বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল) শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৬৩ শতাংশে। গত শনিবার টেস্ট বিবেচনায় শনাক্ত হার ছিল ২১ দশমিক ৪৬, রোববার ১৯ দশমিক ৬, সোমবার ১৭ দশমিক ৬৮, মঙ্গলবার ১৬ দশমিক ৮৫ এবং বুধবার ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২২ এপ্রিল সকাল আটটা পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৭১২ জন। গত বুধবার নতুন ৪ হাজার ১৪ জনসহ এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জনের কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ হাজার ৭৮১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন। এখন পর্যন্ত কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা ৫২ লাখ ৭৭ হাজার ১১২টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৪২৯ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ৬৩ শতাংশ। গতকাল (বুধবার) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৮ হাজার ৪০৮ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। এরমধ্যে গত ৭ এপ্রিল ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন। যেটি এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। ওই দিন টেস্ট বিবেচনায় শনাক্ত হার ছিল ২২ দশমিক ০২ শতাংশ। তবে গত ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে কমেছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।