জেনে নিন কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর কৌশল সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। প্রযুক্তিনির্ভর দুনিয়ায় কম্পিউটার ছাড়া জীবন যেন অসম্পূর্ণ। বোকাবাক্সে বন্দি পুরো দুনিয়া। একটি ক্লিকের মাধ্যমেই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের খবরাখবর জানতে পারবেন। কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনার অজানা যতো কিছু রয়েছে সবই জেনে নিতে পারবেন এক মুহূর্তেই।
- আরো পড়ুন: শিশুকে কেন কলিজা খাওয়াবেন?
- আরো পড়ুন: যেসব কারণে শিশুর বৃদ্ধি হয় না
- আরো পড়ুন: শিশুর গ্যাস্ট্রিক বুঝবেন কীভাবে
তবে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি একটু পুরোনো হলেই গতি কমে যায়। নিয়মিত অ্যান্টি ভাইরাস না দেয়া হলে কিংবা ভারি ভারি সফটওয়্যার স্টোরেজ করার জন্যও পিসি স্লো হতে পারে। বিশেষ করে অ্যাডোবি ফটোশপ বা ভিডিও এডিটিংয়ের মতো সফটওয়্যারগুলো।
ফোনের মতো ঘন ঘন কম্পিউটার পাল্টানো তো আর সম্ভব না। তাই পুরোনো কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির জন্য কিছু নিয়ম বা কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। আবার অনেক সময় নতুন কেনা পিসিও আপনার সঙ্গে শত্রুতা করতে পারে। দেখা যায় একটি ট্যাব খোলার পর ভিজুয়াল হতে এতো বেশি সময় নেয় যে, মোটামুটি ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে দেন।
কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর কৌশল
> কম্পিউটারে কখনো থিম, অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার ইন্সটল করা উচিত নয়। থিম কম্পিউটারকে অনেক স্লো করে দেয়।
> রিসাইকেল বিন সব সময় ফাঁকা রাখুন। রিসাইকেল বিনে কোনো ফাইল রাখবেন না।
> পারর্ফমেন্স বুস্টার সফটওয়্যার থার্ড পার্টি অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো উইন্ডোজ ১০ এর গতি বৃদ্ধি করে এবং জঞ্জাল পরিস্কার করে।
এরকম অনেক সফটওয়্যারের আড়ালে থাকতে পারে ম্যালওয়্যার। চাইলে আইলো সিস্টেম মেকানিক সফটওয়্যারটি নামাতে পারেন। অথেন্টিক সফটওয়্যারটি কিনতে খরচ হবে ৪০ ডলার।
> যে অ্যাপগুলো ইনস্টলড আছে সেগুলোও অনেক জায়গা দখল করে রাখে। এতে পিসি ওপেন হতে সময় বেশি লাগে। র্যামেরও উপরেও চাপ পরে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আনইনস্টল করতে হবে।
এজন্য প্রথমে Windows logo Start button এ রাইট ক্লিক করতে হবে। এরপর Apps and Features এ ক্লিক করলে ইনস্টলড অ্যাপের লিস্ট পাওয়া যাবে। সেখানে অ্যাপের নামের উপর ক্লিক করলেই আনইনস্টলের অপশন পাওয়া যাবে।
> এছাড়াও Control Panel অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো ডিলেট করা যাবে। স্টার্ট আপ প্রোসেসপিসি স্টার্ট করা মাত্র অনেক প্রোগ্রাম চালু হয়ে যায়। এগুলো বন্ধ করতে টাস্ক ম্যানেজার চালু করতে হবে। Ctrl-Shift-Esc চাপলেই প্রোগ্রামটি চালু হবে।
এরপর Startup column সেকশনে ক্লিক করতে হবে। এতে থাকা প্রোগ্রাম লিস্টের উপর রাইট ক্লিক করলে disabled অপশনটি আসবে। এতে ক্লিক করলেই প্রোগ্রামটি আর পিসি চালু করার সময় হাজির হবে না।
> ডিস্ক অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল, অফলাইন ওয়েব পেইজ ও ইনস্টলার ফাইল থাকে। এগুলো ডিলেট করতে Start menu-তে গিয়ে Disk Cleanup টাইপ করতে হবে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে পিসিতে থাকা ৪টি ড্রাইভই একে একে বেছে নিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করা যাবে।
> স্টেট ড্রাইভ পিসিতে যুক্ত করলে তা পিসির গতি অনেক বাড়িয়ে দেয়। পুরোনো পিসির গতি বাড়াতে অনেকেই আলাদাভাবে এসএসডি কার্ড কেনেন। এসএসডি কার্ড যুক্ত পিসিতে অ্যাডোবি ফটোশপের মতো সফটওয়্যারও লোড হয় দ্রুত গতিতে। ধারণক্ষমতা ভেদে এসএসডি কার্ডের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
> ভাইরাস চেকম্যালওয়্যার ঠেকাতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত পিসিতে বিল্ট-ইন ডিফেন্ডার থাকে। থার্ড পার্টি অ্যাপ নামিয়েও ভাইরাস রয়েছে কিনা তা জানা যায়। এমনই একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ হলো ম্যালওয়্যারবিটস অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার। এটা ফ্রিতেই অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার প্রোটেকশন দেবে।
> টিপস অ্যান্ড নোটিফিকেশন বন্ধ করা পিসির গতি বাড়াতে অন্যতম এক উপায়। অসংখ্য অ্যাপ ইনস্টল করা মানেই অগণিতবার নোটিফিকেশন পাওয়া। নোটিফিকেশনগুলো অফ রাখতে Settings অ্যাপে ক্লিক করতে হবে।
এরপর সার্চ বারে গিয়ে Choose which apps show notifications লিখে টাইপ করতে হবে। এরপর স্ক্রল করে দেখা যাবে কোন কোন অ্যাপ নোটিফিকেশন পাঠায়। নোটিফিকেশন অফ করতে অ্যাপের পাশে থাকা টগল বাটনটি অফ করতে হবে। এতে অসময়ে যখন তখন আর নোটিফিকেশন আসবে না।
> এছাড়াও Start থেকে Run-এ ক্লিক করে একেক করে Prefetch, temp, %temp%, cookies, recent লিখে ok করুন। ফোল্ডারগুলো খুললে সবগুলো ডিলিট করে ফেলুন। কিছু সময় পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে ok করুন। এতে র্যামের কার্যক্ষমতা বাড়বে।
> অতিরিক্ত ধুলাবালির জন্য কম্পিউটার স্লো হয়ে যেতে পারে। এজন্য মাসে অন্তত একবার হলেও সিপিইউ খুলে এর ধুলাবালি পরিষ্কার করা উচিত।
- আরো পড়ুন: চা পানে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে
- আরো পড়ুন: ডিম খেলে পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমবে
- আরো পড়ুন: পরিশ্রমের সময় বুকে ব্যথা হলে করণীয়
> মাসখানেক পর পর কম্পিউটারের র্যাম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগান, তাতে মাঝে মাঝে রিস্টার্ট হওয়া কিংবা ডিসপ্লে না আসার সমস্যা কমবে।
> ১ মাস পরপর আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং হিস্টোরি এবং কুকিস মুছে ফেলুন। তাতে আপনার ব্রাউজারের গতি বাড়বে। একসঙ্গে ব্রাউজারে বেশি ট্যাব খুলে রাখবেন না। যে ট্যাবটি দরকার শুধু সেটিই খুলুন। কাজ শেষ হলে পুরোনোটা কেটে আবার নতুন একটি খুলুন। আর ব্রাউজারে অ্যাডস অন ব্যবহার করবেন না।
> অটোমেটিক আপডেট এবং ফায়ারওয়াল অফ করে রাখুন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।