খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল

বিশেষ প্রতিনিধি :: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তার মেডিকেল টিমের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।


আরো পড়ুণ: এই গরমে সুস্থ এবং প্রানবন্তর রাখবে যেসব ফলমূল!


গত শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে মেডিকেল টিম বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি। মেডিকেল টিম রাত সোয়া ৯টায় প্রবেশ করে পৌনে এগারোটা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে।

এ সময় লন্ডন থেকে ডা. জোবাইদা রহমান ও নিউইয়র্ক থেকে অপর একজন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করে।

ডা. এফএম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো ও স্থিতিশীল রয়েছে। গত ৩দিন ধরে তার শরীরে জ্বর উঠা নামা করছিলো। গত শনিবার সারাদিন জ্বর আসেনি। কিন্তু সন্ধ্যার পরে একটু জ্বর আছে (১০০.২ ডিগ্রি)। এ ছাড়াও তার শরীরের পালস, ব্লাড প্রেসার সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার যে সিটি স্ক্যান রিপোর্ট সেটা খুবই সামান্য যেটা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় মাইল্ড বা মাইনর বলা হয়। এর বাইরে তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন সব সময় ভালো। যেটা ৯৮ ও ৯৭ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। যেটা শরীরের জন্য খুব ভালো, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে এখন পর্যন্ত কোন অক্সিজেন দেওয়া লাগেনি। বেগম জিয়া মানসিক দিক দিয়ে খুবই স্ট্রং আছে।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সেরকম অবস্থা দেখা যাচ্ছে না। যদি তার অবস্থার কোন পরিবর্তন ঘটে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার মতো অবস্থান বা প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

ডা. সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়ার জন্য যে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করছি তার ভালো ফলাফল পাচ্ছি বলে মনে হয়। আজ নয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। অর্থাৎ কোভিড দ্বিতীয় সপ্তাহের কঠিন সময় পার করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন জটিল সমস্যা দেখা যায়নি। এই পুরো সপ্তাহ না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের মধ্যে কোন শিথিলতা দেখা দেবে না। এর মধ্যে যদি কোন জটিলতা কিংবা বিপদসঙ্কেত পেলে তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক সেই অনুযায়ি ব্যবস্থা নিবো। কিন্তু এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে সবকিছুই ঠিকমতো চলছে।

বর্তমানে খালেদা জিয়ার অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে।

তার কোন উন্নতি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, কয়েকদিনের তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে উন্নতির লক্ষণ বলা যেতে পারে। তবে এই কয়দিনে শুধু একটি উপসর্গ দিয়ে করোনার উন্নতি বলা যাবে না। সবগুলো দিকে আমাদের নজরদারী রাখতে হবে। কোন ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাবে না।

সিটি স্ক্যানের বিষয়ে এফএম সিদ্দিকী বলেন, করোনা রোগির ক্ষেত্রে সাধারণত খুব অল্প সময়ে ফুসফুস আক্রান্ত হয়। যেটা অনেক সময় ৩০ ভাগ, কোন সময়ে ৫০ ভাগও হয়ে থাকে। যা ওই রোগি নিজেও টের পান না। কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয়নি। তার যেটা রয়েছে তা খুবই সামান্য।

খালেদা জিয়ার ক্ষুধামন্দার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার সময়ে তার মারাত্মক ক্ষুধামন্দা, শরীরে প্রচন্ড ব্যথা এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ছিলো। তার ব্লাডসুগার যেটা সবসময়ে গড়ে ১১ উপরে ছিলো। কিন্তু তিনি বাসায় ফিরে আসার পর এবং আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সে অবস্থার আনেকটা উন্নতি হয়েছে। এখন তার ডায়াবেটিস মাত্রা ৮ এর ঘরে নিয়ে আসতে পেরেছি। ব্যথাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়ায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও তিনি ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করতে পারছেন। কিন্তু এটাকেই আমরা শেষ বলতে চাই না।

এসময় তার সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাকুর খান উপস্থিত ছিলেন।

এগুলো দেখুন

কলকাতা-দিল্লির টর্চার সেলের সন্ধান দিল র‌্যাব

কলকাতা-দিল্লির টর্চার সেলের সন্ধান দিল র‌্যাব

কলকাতা-দিল্লির টর্চার সেলের সন্ধান দিল র‌্যাব স্টাফ রিপোর্টার :: ইউরোপ-অষ্ট্রেলিয়ার পাঠানোর কথা বলে দেশের বিভিন্ন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *