স্টাফ রিপোর্টার :: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের নথি আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আজ (রোববার ৯ মে) আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মতামত সম্বলিত নথিটি সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী নিজেই।
মতামত সম্বলিত নথিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পঠানো হয়েছে কী না এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, হ্যাঁ, পাঠিয়ে দিয়েছি।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার কোভিড -১৯ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ৩ মে খালেদাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। গত বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে শামীম ইস্কান্দার আবেদনটি দিয়ে আসেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিগত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও ৫ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আরো পড়ুন: এই গরমে প্রাকৃতিকভাবে ঘর ঠান্ডা রাখুন
আরো পড়ুন: লোভ – মুহাম্মদ আল মামুন
বিগত ২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। প্রথম দফা মুক্তির মেয়ার শেষ হয়ে আসলে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ থেকে মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।