গর্ভধারণ ও ভ্রূণের সময় ওষুধ সেবনের নিয়ম-কানুন সহ ১০টি ওষুধ সেবনের নিয়ম

আমাদের নিজের বা পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সাধারন্ত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই অনেক ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ এনে সেবন করে থাকি। এক্ষেত্রে নিয়ম কানুন-ছাড়াই ব্যবহার করে থাকি ওষুধ। চলুন জেনে নেই বেশ কিছু ওষুধ এর নাম সহ কখন কি ভাবে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। পাশাপাশী শেয়ার করে অন্যদেরকেউ সচেতন করে গড়ে তুলতে পারি।

ব্যথানাশক ওষুধ

১. ব্যথানাশক ওষুধ যেমন: ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম, ন্যাপ্রোক্সেন, আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন ও কিটোরোলাক ইত্যাদি ভরা পেটে গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় অন্ত্র ফুটো হয়ে যেতে পারে।

প্রোটন পাম্প ইনহেবিটর

২. প্রোটন পাম্প ইনহেবিটর যেমন: ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল, ইসোমেপ্রাজল ইত্যাদি খাবারের আগে সেবন করতে হবে।

অ্যান্টিহিস্টামিন

৩. ঠাণ্ডা-সর্দি বা অ্যালার্জির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন, যেমন: লোরাটাডিন, সেটিরিজিন, ফেক্সোফেনাডিন খালি পেটে গ্রহণ করলে এর কার্যকারিতা বেশি হয়।

অ্যান্টাসিড

৪. অ্যান্টাসিড খাবারের পর না খেয়ে ৩০ মিনিট পর খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

সিপ্রোফ্লোক্সাসিন

৫. সিপ্রোফ্লোক্সাসিন খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে সেবন করাই ভালো। সিপ্রোফ্লক্সাসিন গ্রহণের ২ ঘণ্টার মধ্যে দুগ্ধজাত খাবার বা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন বা জিংকযুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ না

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট

৬. ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, আয়রন ট্যাবলেট, মাল্টিভিটামিন খাবার কয়েক ঘণ্টা আগে বা পরে সেবন করতে পারেন।

পেনিসিলিন

৭. পেনিসিলিন খালি পেটে সেবন করাই ভালো।

কোট্রিম

৮. কিছু ওষুধ যেমন_ কোট্রিম সেবন করলে বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। না হলে এটি কিডনিতে পাথর তৈরি করে সমস্যা করতে পারে।

বেটা ব্লকার-এটেনোলল

৯. হাঁপানি আছে এমন ব্যক্তির ব্যথানাশক ওষুধ, বেটা ব্লকার-এটেনোলল, প্রোপানোলল সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

রেটিনয়েড

১০. গর্ভাবস্থায় ওষুধ সেবন গর্ভধারণ ও ভ্রূণের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। থ্যালিডোমাইড, রেটিনয়েড, ক্যান্সারের ওষুধ সেবন করলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে। গর্ভকালীন টেট্রাসাইক্লিন শিশুর দাঁত ও হাড়ের গঠনে বাধা দেয়। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ওষুধ শিশুর হাইপোগ্গ্নাইসেমিয়া করে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই এ সময় ইনসুলিন নিতে হয়।

জেনে রাখা ভালো একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ওষুধ সেবন করলে ওষুধের মধ্যে প্রতিক্রিয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওষুধের কার্যকারিতা কমতে পারে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওষুধের কার্যকারিতা বাড়তে পারে। এ দুটোই বেশ ক্ষতিকর। তাই এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মানতে হবে।

 ধন্যবাদান্তে ডাঃ কুতুব উদ্দিন মল্লিক স্যার সহযোগী অধ্যাপক , খুলনা মেডিকেল কলেজ।

আরো পড়ুন: হাঁটু ও কোমরের ব্যথা দূর করার কৌশল

এগুলো দেখুন

মা'সিকের কতদিন পর স'হবাস করলে খুব দ্রুত বাচ্চা হয়

মা’সিকের কতদিন পর স’হবাস করলে খুব দ্রুত বাচ্চা হয়

অনেক নারী টাইম বুঝে উঠতে পারেন না যে মা’সিকের পরে ঠিক কোন দিন ঘুরতে গিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *