আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যমে ‘অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়া ‘তওকত’র ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে তাণ্ডব চালিয়ে অবশেষে দুর্বল হয়েছে। তবে গতিপথে এটি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। যার প্রভাবে বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানান, স্থানীয় সময় গতকাল (সোমবার ১৭ মে) রাত ৯টার দিকে গুজরাট উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে তওকত। গত প্রায় ২ দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ের এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার। ঝড়টি প্রায় ৩ ঘণ্টা গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে দুর্বল হতে থাকে।
এদিকে ঝড়ের প্রভাবে সাময়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম আবার চালু হয়েছে। গতকাল (সোমবার ১৭ মে) বেলা ১১টায় বন্ধ হওয়া কার্যক্রম রাত ১০টা নাগাদ চালু হয়। এ সময়ে বিমানবন্দরে অন্তত ৫৫টি ফ্লাইটের বহির্গমন ও অবতরণ বাতিল করা হয়।
একই কারণে কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকার পর আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম আজ (মঙ্গলবার ১৮ মে) ভোর ৫টা নাগাদ শুরু হয়।
এর আগে ‘তওকত’র আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ভারতের গুজরাট প্রদেশে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। উপকূল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয় দেড় লাখের বেশি মানুষকে। মহারাষ্ট্র প্রদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকেও হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকুরের কার্যালয় গতকাল (সোমবার ১৭ মে) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাজ্যে এই ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ৬ জন নিহত ও আরো ৯ জন আহত হয়েছেন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।