চুল পড়া বন্ধ করবে যেসব খাবার

চুল পড়া বন্ধ করবে যেসব খাবার আমাদের সকলেই কম-বেশি চুল পড়ার সমস্যা আছে। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের বালিশে উপর দেখা যায় প্রচুর চুল পড়ে আছে। প্রায় ১০০ করে চুল পড়ে প্রতিদিন। কিন্তু প্রত্যেকটি মানুষের সৌন্দর্য বাড়ায় তার চুল। তাই আমাদের খাদ্যাভাস চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। যদি আমরা নিয়ম অনুসারে চলতে পারি।

আজকে আমরা টিম লিসোনারির মাধ্যে জেনে নেই এমন ১০ খাবারের নাম। যেগুলো খেলে আমরা চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবো এবং আগের থেকে আরো বেশি সুন্দর হয়ে উঠবে আমাদের চুল।তাহলে আর দেরি না করে আমরা আমাদের চুল পড়া বন্ধ করার এবং সুন্দর রাখার উপায়গুলো জেনে নেই।

১. পালং শাক

পালং শাক একটি পাতাময় সবজি, যা চুলের ব্যাপক উপকারী। এই শাকে আছে ভিটামিন কে, এ, সি, বি২, বি৬, বি১, ই, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, আয়রন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। পালং শাক চুল ও মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যে উপকারী। এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনিং এর ক্ষেত্রেও অনেক উপযোগী। এতে আছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা ভিটামিন বি ও সি চুলের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে।

২. ডিম ও দুগ্ধজাতীয় খাবার

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা উচিত। কারণ ডিম চুল গজাতে ও চুলকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে। দুধ, ডিম ও দইয়ে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, আয়রন, জিঙ্ক এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড দ্বারা ভরপুর। বায়োটিন (ভিটামিন বি ৭) এর উৎস হলো এই দুধ। যা চুল পড়া রোধে সহায়তা করে।

৩. বাদাম ও আখরোট

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কিছু আখরোট ও বাদাম রাখতে পারেন।কারণ চুল পড়া রোধ আখরোট ও বাদাম করে। বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছেে এই আখরোট ও কাজুবাদাম। বিশেষ করে বায়োটিন, ভিটামিন বি, ওমেগা থ্রি ও সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম আছে। যা চুলকে মজবুত করে। প্রতিদিনের ডায়েটে যদি আপনি বাদাম রাখেন, তাহলে চুল পাতলা হওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং চুলের বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে।

৪. পেয়ারা

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে এই পেয়ারাতে। যা কমলালেবুর তুলনায়ও অনেকটা বেশি। এই ভিটামিন সি চুলের আগা ফেটে যাওয়া ও ভেঙ্গে যাওয়া রোধে করে। পেয়ারা এমন একটি ফল যাতে ভিটামিন বি ও সি সমপরিমাণে আছে। যা চুলের বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে।

৫. ডাল

ডালে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক ও বায়োটিন যা চুলকে উজ্জল করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৬. বার্লি

বার্লিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। যা চুলকে সিল্কি করে। এতে আরো আছে আয়রন ও কপার। যা আমাদের দেহের রক্ত উৎপাদনে কাজ করে থাকে।

৭. সামুদ্রিক মাছ

চুলের জন্য আরেকটি উপকারি বন্ধু হলো ভিটামিন বি। এই ভিটামিন লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে করে রক্ত বেশি বেশি অক্সিজেন ও পুষ্টি মাথার তালু ও চুলের গোঁড়ায় পৌঁছে দেয়। এভাবেই তৈরি হয় শক্ত ও লম্বা চুলের ভিত। ভিটামিন বি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছে।


আরো পড়ুন: ঔষধি গুনে ভরপুর গাছের নাম হাতিশুঁড়
আরো পড়ুন: বাকপ্রতিবন্ধী হয়েও সমাজে আলো ছড়াচ্ছে তামান্না!


৮. স্ট্রবেরি

যদি আপনি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্ট্রবেরি রাখেন, তাহলে চুল পাতলা হওয়া এবং টাক পড়ার হাত থেকে সুরক্ষা দেবে। স্ট্রবেরিতে থাকা এলাজিক অ্যাসিড টাক পড়া রোধে সহায়তা করে এবং চুলকে গভীর থেকে শক্তি জোগায়। যার ফলে চুল পড়া কমে। এতে আরো রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৬ ও বি৫, যা চুল পড়া রোধে দারুণ কার্যকর।

৯. গাজর

গাজার এতে আছে ভিটামিন-এ। চোখের জন্য যেমন ভালো, তেমনি চুলের জন্যও দারুণ উপকারী একটা জিনিস। এটি কোষের বেড়ে ওঠাকে ত্বরান্বিত করে। তাই এই ভিটামিন সবজি গাজর বাড়াবে আপনার চুলের শক্তি ও সমৃদ্ধি।

১০. শণ বীজ

প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে শণ বীজে। যা মাথার ত্বককে ভাল রেখে চুলকে উজ্জল করে তোলে। শণবীজ ভাল খাদ্যাভাসের মধ্যে অন্যতম এক খাবার।

 

 

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

কষা পায়খানা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা ! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

কষা পায়খানা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা ! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

ইদানিং দেখা যাচ্ছে ছোট থেকে বড় সকলের কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা নিয়ে চিন্তায় আছেন বা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *