জেনে নিন ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুসারে বাংলাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে। আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুসারে বাংলাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো:
- আরো পড়ুন: ব্যবস্থাপকীয় অর্থনীতি ও সাধারণ অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য জেনে নিন বিস্তারিত
- আরো পড়ুন: ব্যবস্থাপকীয় অর্থনীতি কী? জেনে নিন বিস্তারিত
- আরো পড়ুন: অর্থনীতির প্রকারভেদ: ধনতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক, মিশ্র ও ইসলামি
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
শিশুদের জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরম্ন করার আগে শিশুর অন্তর্নিহিত অপার বিস্ময়বোধ, অসীম কৌতুহল, আনন্দবোধ ও অফুরন্ত উদ্যমের মতো সর্বজনীন মানবিক বৃত্তির সুষ্ঠু বিকাশ এবং প্রয়োজনীয় মানসিক ও দৈহিক প্রস্তুতিগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। তাই তাদের জন্য বিদ্যালয়-পস্তুতিমূলক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা জরম্নরি।
অন্যান্য শিশুর সঙ্গে একত্রে এই প্রস্তুতিমূলক শিক্ষা শিশুর মধ্যে শিক্ষার প্রতিআগ্রহ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। কাজেই ৫+ বছর বয়স্ক শিশুদের জন্য প্রাথমিকভাবে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হবে। পরবর্তীকালে তা ৪+ বছর বয়স্ক শিশু পর্যšত্ম সম্প্রসারিত করা হবে।
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষাক্রম হবে:
শিক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ সৃষ্টিমূলক এবং সুকুমার বৃত্তির অনুশীলন।
অন্যদের প্রতি সহনশীলতা এবং পরবর্তী আনুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য শৃঙ্খলাবোধ সম্পর্কে ধারণা লাভ।
- আরো পড়ুন: জেনে নিন শিক্ষার ইতিহাসের বিস্তারিত
- আরো পড়ুন: ফিন্যান্স কী জেনে নিন বিস্তারিত
- আরো পড়ুন: ফিন্যান্সের ইতিহাস
প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদান কৌশল
১. অন্যান্য গ্রহণযোগ্য উপায়ের সাথে ছবি, রং, নানা ধরনের সহজ আকর্ষণীয় শিক্ষা উপকরণ, মডেল, হাতের কাজের সাথে ছড়া, গল্প, গান ও খেলার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে।
২. শিশুদের স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসা ও কৌতূহলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তাদের স্বাভাবিক প্রাণশক্তি ও উচ্ছ্বাসকে ব্যবহার করে আনন্দময় পরিবেশে মমতা ও ভালোবাসার সাথে শিক্ষা প্রদান করা হবে। শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে যেন তারা কোনোভাবেই কোনোরকম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার না হয়।
৩. প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রতি বিদ্যালয়ে বাড়তি শিক্ষকের পদ সৃষ্টি ও শ্রেণীকক্ষ বৃদ্ধি করা হবে। তবে সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা হবে।
৪. মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত সকল ধর্মের শিশুদেরকে ধর্মীয়জ্ঞান, অক্ষরজ্ঞান সহ আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিকতা শিক্ষাপ্রদানের কর্মসূচি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে গণ্য করা হবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।