জেনে নেই করোনার লক্ষণ, প্রতিরোধ ও করণীয়

জেনে নেই করোনার লক্ষণ, প্রতিরোধ ও করণীয়। করোনা : বৈশ্বিক মহামারি করোনা সম্প্রতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আজ হিমশিম খাচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে।

চলুন জেনে নেই করোনার লক্ষণ

প্রতিরোধ ও চিকিৎসা আমাদের করণীয়। লক্ষণঃজ্বর, শ্বাসকষ্ট, হাচি, কাশি, গলা ব্যথা, পাতলা পায়খানা, গন্ধ ও স্বাদের পরিবর্তন। প্রতিরোধ: ভয় নয়, সচেতনতাই পারে করোনা প্রতিরোধ করতে। মাস্ক ব্যবহার করুন, ভীড় জন সমাগম এড়িয়ে চলুন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, করোনার টিকা নিন, গণটিকাদান ও সচেতনতাই হতে পারে এই মূহুর্তে সবথেকে বড় অস্ত্র ।

চিকিৎসা

করোনার লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং নির্ভয়ে করোনা পরীক্ষা করান। করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানে-ই মৃত্যু নয়। বরং দ্রুত করোনা শনাক্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেক কমিয়ে আনতে পারে। এই সময়ে হাতের কাছে রাখুন পালস্ অক্সিমিটার।

স্যাচুরেশন ৯৩ এর উপরে থাকলে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু অক্সিজিন স্যাচুরেশন ৯৩ এর নিচে চলে গেলে রোগীর জন্য অক্সিজিনে দরকার হতে পারে। তাই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। মৃদু করোনা উপসর্গের চিকিৎসা বাসায় সম্ভব। তবে খারাপ এবং তীব্র উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।


আরো পড়ুন: যেসব কারণে চোখের পাতা কেঁপে ওঠে!

 আরো পড়ুন: মানসিক চাপ থেকে হতে পারে ত্বকের সমস্যা

আরো পড়ুন: শিশুদের ক্যান্সার সনাক্তে যেসব লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না


যে সব রোগীর ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, অ্যাজমা ও পূর্বে স্ট্রোক করেছে এমন রোগীদের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তাদের সকল চিকিৎসাই হাসপাতালে করাতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ আমাদের দেশে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সাধারণত যখন ধমণী শক্ত হয়ে যায় অথবা চর্বি জমে ধমণী সরু হয়ে যায় তখনএই রক্তচাপ সৃষ্টি হয়।

উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে আছে যারা

ধূমপায়ী ৪০ উদ্ধ ব্যক্তি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের হিষ্ট্রি আছে। পরিশ্রমবিমুখ অলস ব্যাক্তি এবং যারা পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করেন না এমন স্থূল ব্যক্তি।

প্রতিরোধ

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা। চিকিৎসা: আমাদের সময়ে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যদি কোনোভাবে রক্তচাপ ১২০/৮০মি.মি মর্কারীর বেশি পাওয়া যায় তখন তার উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ খাওয়া দরকার।

ধারণাটি ভুল সাধারনত বয়সভেদে এক এক জনের জন্য সাবাভিক রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন । তাই চিকিৎসা শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত হলে ঔষধের পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, পাতে লবণ কম খাওয়া, পরিমিত ঘুমানো, তেল চর্বি, কোলেষ্টরলযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খেতে হবে। লাল মাংস(গরু, খাশী) এবং চিংড়ি মাছ কম খেতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্কাইব করুন

এগুলো দেখুন

জন্ম নিয়ন্ত্রণ সঠিক পদ্ধতি কোনটি হওয়া উচিত?

জন্ম নিয়ন্ত্রণ সঠিক পদ্ধতি কোনটি হওয়া উচিত?

দুর্বা ডেস্ক: আজকে আমরা আলোচনা করব জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বিষয়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমরা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *