স্টাফ রিপোর্টার :: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির মামলায় এক আসামির জামিন শুনানিতে হাইকোর্ট প্রশ্ন রেখে বলেন, জেলখানায় গেলেই কি সবাই অসুস্থ হয়ে যায়? আমাদের কিছুই করার নাই। প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে কেন বিতর্কিত করেন? জামিন দেয়া হবে না।
আজ (মঙ্গলবার ৮ জুন) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানিতে এমন প্রশ্ন রাখেন।
আইনজীবীকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে কেন বিতর্কিত করেন? রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসকে কেন প্রশ্নের সম্মুখীন করেন। আপনার কাছে এ ধরনের অপরাধ ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু এটাকে নমনীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ নাই।
নথি জালিয়াতির মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত কর্মচারী ফাতেমা খাতুন। আদালতে তার জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী।
আসামির জামিন প্রার্থনা করে শুনানিতে আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল এজাহারের ৩ নম্বর আসামি। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রয়েছে। ২০২০ সালের ১০ মে থেকে কারাগারে আছেন তিনি। উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এ সময় আদালত বলেন, জেলখানায় গেলেই কি সবাই অসুস্থ হয়ে যায়। আমাদের কিছুই করার নাই। জামিন দেয়া হবে না। শুধু রুল নিতে পারেন। আবার আইনজীবী বলেন, উনি (আসামি) অসুস্থ। জবাবে আদালত বলেন, কিছু করার নাই।
পরে আইনজীবী রুল নিতে চাইলে হাইকোর্ট আসামির জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সেই সাথে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া এই মামলার আরেক আসামি নাজিম উদ্দিনের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে দুদককে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আবেদনটি খারিজ করে দেন উচ্চ আদালত।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।