নারীর ওপর প’র্নোগ্রাফি কি ধরনের প্রভাব ফেলে?

প্রিয় পাঠক নারীর ওপর প’র্নোগ্রাফি কি ধরনের প্রভাব ফেলে? এ বিষয়ে আজ আমরা খোলামেলা আলোচনা করবো।

আমি যখন প্রথম প’র্নোগ্রাফি দেখি, তখন আমার বয়স ছিল ১২, বললেন নীলম টেলর। এখন তার বয়স ২৪। তার মতো আরও অনেকেই আছে যারা এতো অল্প বয়সেই প’র্নোগ্রাফি দেখেছে। বিগত ২০১৬ সালের এক জরিপে দেখা গেছে ১১-১৬ বছর বয়সী শিশুদের ৫৩ শতাংশ অনলাইনে যৌ’নতার দৃশ্য দেখেছে।

পুরুষদের প’র্নোগ্রাফি দেখা নিয়ে অনেক গবেষণা ও জরিপ হয়েছে কিন্তু নারীর ওপর এই প’র্নোগ্রাফি কি ধরনের প্রভাব ফেলে সেটা নিয়ে জানা যায় খুব কমই। যৌ’নতার প্রতি সামান্য কৌতূহল থেকেই শুরু হয়েছিল নীলমের আসক্তির কারণ।

নীলমের গল্প

নীলমের বয়স যখন মাত্র ১১-১৬ তখন তিনি বেশিরভাগ দিনই প’র্নোগ্রাফি দেখতেন। নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তিনি প’র্ণ সাইটে কাটাতেন অনেক সময়। কোনো ছবি ছিল মাত্র ১০ মিনিটের আবার কোনো কোনো ছবি ছিল ১ ঘণ্টার। তার বাবা মা এর কিছুই জানতেন না।

‘আমার মনে হয় প’র্নোগ্রাফি মানুষকে অনেক বেশি অসংবেদনশীল করে তোলে। প’র্নোগ্রাফিতে অনেক সহিংস দৃশ্যও থাকে এবং একটা সময়ে মনে হয় এসব যেন খুবই স্বাভাবিক,’ বলেন নীলম।

কিভাবে এটা শুরু হয়েছিল সেটা বলতে গিয়ে নীলম বলেন, ‘মনে হয় একটা ছবি দেখার পর এ বিষয়ে আমি আরও কিছু জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলাম। অথবা যৌ’নতার জন্যে আমার আকাঙ্ক্ষা হয়তো খুব তীব্র ছিল। আমি তখন কিশোর বয়সে ঢুকতে শুরু করেছি। যেসব ছবিতে প্রচুর সে’ক্সের দৃশ্য আছে আমি সেগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে দেখতে শুরু করলাম।’

নীলম বলেন, স্কুলে থাকতেই তিনি প’র্নোগ্রাফির কথা শুনেছেন। কিন্তু তিনি এমন একটা স্কুলে পড়তেন যেখানে শুধু মেয়েরাই পড়তো।

‘সবসময় মনে করা হতো যে এসব বুঝি শুধু ছেলেরাই দেখে। এটাই আমার কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমার অনেক লজ্জাও লাগতো কারণ আমার মনে হতো যে আমি একটা অস্বাভাবিক কাজ করছি। মনে হতো মেয়েরা তো এসব দেখে না।’

প’র্নোগ্রাফি দেখতে দেখতেই নীলমের মধ্যে বিশেষ কিছু ভিডিওর ব্যাপারে আগ্রহ বাড়তে শুরু করলো।

‘একটা সময় আমি এমন সব ছবি দেখতে লাগলাম যেখানে মেয়েরা অনুগত হয়ে সেটা করছে, কিম্বা তাকে সে’ক্স করতে জোর করে বাধ্য করা হচ্ছে। অথবা আমি খুঁজে দেখতাম কোনো ছবিতে একজন বয়স্ক লোক কম বয়সী মেয়ের সঙ্গে সে’ক্স করছে। আমি জানতাম না কেন আমি এসব দেখতে চাইতাম। কারণ ওই বয়সে যৌ’নতার বিশেষ কোনো দিকের ব্যাপারে আমার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ার কথা না।’

সারাহর গল্প

একই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে ২৫ বছর বয়সী সারাহরও। ‘১৩/১৪ বছর বয়স থেকে আমি প’র্নোগ্রাফি দেখতে শুরু করি। কম করে হলেও সপ্তাহে ২ বার দেখতাম। আমার মনে হতো যে আমি বুঝি আমার একটা চাহিদা পূরণ করছি।’

‘এক পর্যায়ে আমি এমন ভিডিও দেখতে শুরু করলাম যেখানে ১০ জন পুরুষ মিলে একজন নারীর সঙ্গে সে’ক্স করছে। অথবা ওই সময় নারীকে চড় মা’রা হচ্ছে অথবা তাকে অপমান করা হচ্ছে। আমি নিজে সে’ক্স করার আগেই আমি এসব দেখেছি।’

এখনও সারাহ এসব ভিডিও দেখেন। কিন্তু আগের মতো নয়। কিন্তু তিনি মনে করেন ১০ বছর ধরেও এ ধরনের ভিডিও নিয়মিত দেখার পর যৌ’নতার মাধ্যমে চরম তৃপ্তি (অ’র্গাজম) পাওয়া তার জন্যে খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

প’র্নোগ্রাফি ও পুরুষের মস্তিষ্ক

পুরুষদের প’র্নোগ্রাফি দেখার ব্যাপারে প্রচুর লেখালেখি হয়। বিজ্ঞানীরাও এই বিষয়ে কাজ করেছেন।

ব্রিটেনে এঞ্জেলা গ্রেগরি নামে একজন ব্রিটিশ যৌ’ন থেরাপিস্ট বিগত ২০১৬ সালে বিবিসিকে বলেছিলেন, খুব সহজেই দেখা যায় বলে পুরুষদের মধ্যে যৌ’ন সমস্যার সংখ্যা বাড়ছে। এ বিষয়ে চিকিৎসা নিতে তারা ডাক্তারদের দ্বারস্থ হতেন। তিনি হাসপাতালে কাজ করতেন।

ব্রিটিশ একটি দাতব্য সংস্থা তার গবেষণায় বলেছে, ব্রিটেনে যখন ব্রডব্যান্ডের যাত্রা শুরু হলো, ২০০০ সালের দিকে, তখন এই পুরুষদের ২-৫ শতাংশ যৌ’ন অক্ষমতার জন্যে প’র্নোগ্রাফিকে দায়ী করা হতো। বর্তমানে এই হার প্রায় ৩০ শতাংশ।

এটা শুধু শারীরিক অক্ষমতারই কারণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে গবেষকরা বলছেন, যেসব পুরুষ অল্প বয়সে প’র্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে তাদের মধ্যে পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যও গড়ে উঠতে দেখা যায়।

ব্রিটেনে আরও একজন থেরাপিস্ট থ্যাডিয়াস বির্চার্ড যৌ’নতায় আসক্তদের চিকিৎসার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সাধারণত প’র্নোগ্রাফিতে পুরুষদের চিন্তাভাবনাই প্রতিফলিত হয়।

কখন শুরু হয় দেখা

যেসব শিশু তাদের ১১-১৬ বছর বয়সে প’র্নোগ্রাফি দেখে তাদের ৯৪ শতাংশ এসব দেখতে শুরু করে ১৪ বছর বয়স থেকেই। তাদের মধ্যে কিশোর যেমন আছে, তেমনি আছে অনেক কিশোরীও।

সাম্প্রতিক কালে ১৮-২৫ বছর বয়সী ১,০০০ মানুষের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের ৪৭ শতাংশ নারী গত মাসে প’র্নোগ্রাফি দেখেছেন এবং ১৪ শতাংশ নারী মনে করেন যে তারা হয়তো প’র্নোগ্রাফিতে কিছুটা হলেও আসক্ত।

নীলমের বয়স যখন ১৬ তখন তিনি প’র্নোগ্রাফি দেখা বন্ধ করে দেন। তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শরীরের ওপর এর প্রভাবকেই।

প্রথম ছেলে-বন্ধুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক হওয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম যে স্বাভাবিক যৌ’ন সম্পর্কের মাধ্যমে আমি শারীরিকভাবে জেগে উঠতে পারছি না। আমার মনে হয় কাউকে উদ্দীপ্ত করার ব্যাপারে প’র্নোগ্রাফি একেবারেই অস্বাভাবিক একটি উপাদান। একজন সাধারণ পুরুষ সঙ্গীর পক্ষে সেটা পূরণ করা অসম্ভব।”

তিনি বলেন, প’র্নোগ্রাফি দেখা ও বাস্তব জীবনে সে’ক্স করার সময় তার মধ্যে যে শারীরিক পরিবর্তন ঘটতো তাতেও তিনি একটা পার্থক্য লক্ষ্য করেন। একসময় মনে হতো সে’ক্স করার আগে আমার হয়তো টয়লেটে গিয়ে প’র্নোগ্রাফি দেখতে হবে যাতে আমি একটা উত্তেজনা বোধ করি।”

নীলম মনে করেন না যে তিনি প’র্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলেন। সেরকম হলে তিনি সেসব দেখা বন্ধ করে দিতে পারতেন না।

শরীরের ওপর প্রভাব

২৮ বছর বয়সী হান্নাও মনে করেন যে খুব বেশি প’র্নোগ্রাফি দেখলে মানুষের সংবেদনশীলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে তিনি বলেছেন, এথেকে তার কিছু লাভও হয়েছে।

‘আমি একজন সমকামী নারী। আমার বয়স যখন ৮/৯ তখনই আমি বুঝতে পারি যে আমি আসলে নারীদের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হই। কিন্তু লেসবিয়ান প’র্নোগ্রাফি দেখার পরেই আমি এবিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হই।’

কিন্তু পরে প’র্নোগ্রাফির প্রতি হান্নার আসক্তি কেটে যায়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ লেসবিয়ান প’র্ণ হচ্ছে পুরুষদের ফ্যান্টাসি। তারা দেখতে চায় ২ জন নারী সে’ক্স করলে সেটা দেখতে কেমন লাগে,’ বলেন তিনি।

ড, লেইলা ফ্রডশ্যাম একজন গাইনোকলজিস্ট। ইন্সটিটিউট অফ সাইকোসে’ক্সুয়াল মেডিসিনের মুখপাত্রও তিনি।

‘আমি ২০ বছর ধরে লোকজনকে চিকিৎসা দিচ্ছি। কিন্তু আমি এমন কোনো নারীকে পাইনি যিনি বলেছেন যে প’র্নোগ্রাফি নিয়ে তার সমস্যা আছে।’

তিনি জানান, এনিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। একটি গবেষণা হয়েছে ৪৮ জনের উপর। তাতে দেখা গেছে প’র্নোগ্রাফির কারণে নারীর শারীরিক উত্তেজনায় তার কোনো প্রভাব পড়েনি।

মধ্যপ্রাচ্যে ২০০ নারীর ওপর চালানো আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে প’র্নোগ্রাফি দেখলে যৌ’নমিলনের সংখ্যার কোনো তারতম্য হয় না। তবে দেখা গেছে যে যৌ’ন ইচ্ছা ও শারীরিকভাবে জেগে ওঠার বিষয়ে এই প’র্নোগ্রাফির একটা প্রভাব রয়েছে। ফ্রডশ্যাম

তিনি বলেন, মানুষের যৌ’নাঙ্গে নয় বরং তাদের চোখে মুখে যৌ’নসংক্রান্ত অসুখ বিসুখ ছড়িয়ে পড়েছে- যার অর্থ প’র্নোগ্রাফির আরো প্রসার ঘটেছে। তার মতে এটা হয়ে নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এবং খুব অল্প বয়স থেকেই তারা এখন প’র্ন দেখছে।

এরিকার গল্প

আমেরিকান লেখিকা এরিকা গার্জা মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে সফ্টকোর প’র্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। সেটা নব্বই এর দশকের কথা। সেসময় গভীর রাতে টেলিভিশনে এসব দেখানো হতো। তখনও ইন্টারনেটের অতোটা চল ছিল না।

“আমার মেরুদণ্ডে তখন একটা সমস্যা হয়েছিল। সেজন্যে আমাকে একটা ব্রেস পরতে হতো। স্কুলে এটা নিয়ে অনেকে হাসি ঠাট্টা করতো। খুব খারাপ লাগতো আমার। তখন আমি প’র্নোগ্রাফি দেখতাম ও হ’স্তমৈথুন করে সেসব ভুলে থাকতে চাইতাম।”

এরিকা বলেন, “নারীরা কী কারণে শারীরিকভাবে উ’ত্তেজিত হয় সেবিষয়ে খুব একটা কথাবার্তা বলে না। কারণ তাদেরকে হয়তো খারাপ মনে করা হতে পারে। নারীর এই আকাঙ্ক্ষার কারণেও তার মধ্যে লজ্জা শরম তৈরি হতে শুরু করে। তখন হয়তো তারা প’র্নোগ্রাফি দেখতে শুরু করে।”

এরিকা প্রত্যেকদিন প’র্নোগ্রাফি দেখতেন না। কিন্তু তিনি মনে করেন তার জীবন ও সম্পর্কের ওপর এই প’র্নোগ্রাফির একটা প্রভাব পড়েছে।

“আমি যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি কিম্বা আমার মধ্যে কোন উদ্বেগ কাজ করে তখন আমি প’র্নোগ্রাফি দেখি। কিন্তু এটা আমাকে অন্যান্য কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তখন নিজে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। নিজের ব্যাপারে খারাপ লাগতে শুরু করে। মনে হতে শুরু করে যে আমার মধ্যে হয়তো খারাপ কিছু আছে। আমি তখন নিজের ভেতরে লুকিয়ে যাই।”

তিনি জানিয়েছেন যে এই যৌ’ন আসক্তির ব্যাপারে তিনি চিকিৎসাও করিয়েছেন।

তিনি বলেন, তার উপর এসব প’র্নোগ্রাফির নানা রকম প্রভাব পড়েছিল। তিনি এমন কিছু যৌ’ন দৃশ্যের ব্যাপারে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন যা খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না।

‘যেমন বিছানায় আমার সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ করছে। এমন দৃশ্য যেখানে হয়তো পুরুষরা তাদের চাইতেও অনেক কম বয়সের নারীদের সাথে মিলিত হচ্ছে। তখন আমিও পুরুষের কাছ থেকে সেরকম আগ্রাসী আচরণ প্রত্যাশা করতে শুরু করি।’

তিনি বলেন, প’র্নোগ্রাফি দেখার কারণে তার মধ্যে এই ভাবনাও তৈরি হতে শুরু করে যা তার শরীর কেমন হওয়া উচিৎ। এসব দেখার পর তিনি তার শরীরের সব রোম উপড়ে ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন।


আরো পড়ুন: যেসব লক্ষণে বুঝবেন হাড়ে ক্ষয় ধরেছে, কিভাবে প্রতিরোধে করবেন


প’র্নোগ্রাফি দেখলে কি হয়

নীলমের মধ্যে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে কম বয়সী নারীর যৌ’ন মিলনের ভিডিও দেখতে দেখতে তিনিও, যখন তার বয়স ১৭,১৮,১৯ তখন তিনিও বয়স্ক পুরুষের সাথে সম্পর্ক করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন।

‘আমি জানি না কেন এরকম হয়েছিল। প’র্নোগ্রাফির কারণে নাকি অন্যকিছুর ফলে সেটা আমি বলতে পারবো না,’ বলেন তিনি।

‘যখন আমার বয়স কম ছিল সে’ক্সের কথা মনে হলেই মনে হতো যে আমাকে প্যাসিভ হতে হবে। সে’ক্স হচ্ছে এমন একটা জিনিস যা কেউ একজন আমাকে নিয়ে করবে। এটা কি সবসময় আমার মধ্যে ছিল নাকি প’র্নোগ্রাফি দেখে আমার মধ্যে এটা তৈরি হয়েছিল?’

বিগত ২০১০ সালে ৩’শটিরও বেশি প’র্নোগ্রাফি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তার ৮৮ শতাংশ জুড়ে আছে শারীরিক আগ্রাসনের দৃশ্য।

ওই একই গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরাই সেই আচরণ করছে এবং তাদের লক্ষ্য হচ্ছে নারী। এবং নারীরা এসব দেখে আনন্দ পাচ্ছে বলেই প’র্নোগ্রাফিতে দেখানো হচ্ছে।

এধরনের আরেকটি গবেষণায় আগ্রাসনধর্মী প’র্নোগ্রাফির কী প্রভাব পড়ছে পুরুষের ওপর সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, এসব প’র্নোগ্রাফির সাথে সহিংসতার সম্পর্ক খুব বেশি নয়।

তবে নারীদের ওপর এর কী ধরনের প্রভাব পড়ে সেবিষয়ে জানা যায় আরো কম। নীলম মনে করেন, এবিষয়ে স্কুলের আরো এগিয়ে আসা উচিত যৌ’ন শিক্ষার ব্যাপারে।

‘আমার মনে হয় সে’ক্স এবং প’র্ন স্কুলগুলোতে এখনও একটা ট্যাবু। এসব বিষয়ে মেয়েরা জানতে পারবে হয় স্কুলে কিম্বা প’র্নোগ্রাফি থেকে। কিন্তু আমি মনে করি না যে প’র্নোগ্রাফি থেকে মেয়েরা ভাল যৌ’ন-শিক্ষা পাবে।’

কিন্তু এরিকা মনে করেন, প’র্ন দেখার মধ্যে খারাপ কিছু নেই। এটা হচ্ছে ওয়াইন খাওয়ার মতো। কেউ ১ গ্লাস খেয়েই রেখে দেবে আবার অন্য একজনকে হয়তো পুরো বোতলটাই খেয়ে ফেলতে হবে।”

প’র্নোগ্রাফি নীলমকে এখন আর আগের মতো আকৃষ্ট করে না। তিনি বলেছেন, কয়েক বছর আগে তিনি এসব আবারও দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আর অতো ভাল লাগেনি বলে তিনি জানিয়েছেন।

হান্না এখনও এসব ভিডিও মাঝে মধ্যে দেখে থাকেন। তবে এসব তিনি বাছাই করে দেখেন। তার মধ্যে রয়েছে দম্পতিদের ঘরে তৈরি ভিডিও যার সাথে বাস্তবতার মিল রয়েছে।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে

আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে? জেনে নিন বিস্তারিত

জেনে নিন আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে? আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *