দুর্বা ডেস্ক :: কোভিড-১৯ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত ৮ দিনের লকডাউনের প্রথম দিনে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সীমিত পরিসরে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮। এবারের প্রতিপাদ্য ‘কাল ভয়ঙ্করের বেশে আসে ঐ সুন্দর। ’
আরো পড়ুণ: আজ থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু, মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
আরো দেখুণ: নবনীর আগমনে – সুমাইয়া শাহরীন
আজ (বুধবার) সকালে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ নিয়ে অনুষদ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রতীকী শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। এ প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের স্বল্প সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আবহমান কাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন। নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ গুরুত্ববহ একটি বছর আমাদের কাছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন ঘটল। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করায় উপাচার্য চারুকলা অনুষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাংলা ১৪২৮ পহেলা বৈশাখ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হয়নি।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলেও এখানে ক্লিক করুণ।