বিশেষ প্রতিনিধি :: নানা বাধা উপেক্ষা করে প্রতিদিনই ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ অব্যাহত থাকায় আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করেছে ফেরি কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রী ও রোগীবাহি এ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য বিশেষ কিছু যানবাহন পারাপারে প্রয়োজন অনুযায়ী ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
নির্ধারিত কয়টি ফেরি চলাচল করবে তা নির্দিষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ। ফেরি ছাড়ার খবর শুনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেফেরিগুলোতে উপচে পড়া ভিড়কে ঈদে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিগুলোতে।
আজ (মঙ্গলবার ১১ মে) সকাল থেকে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি গুলো উপচে পড়া যাত্রী এবং ছোট ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসে। নানা ধরনের ভোগান্তি মাথায় নিয়ে প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ টুকু ভাগাভাগি করতে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত কয়েকগুণ টাকা খরচ করে নারী টানে বাড়ি ফিরছে। তবে যাত্রীদের অত্যাধিক চাপের কারণে কারো মধ্যেই দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষ্মণ।
যাত্রীরা বলেন, ফেরির সাথে এখন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে গণ পরিবহনগুলো খুলে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন। এতে তারা ঈদের আনন্দ টুকু পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করতে পারবে বলেন। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন, গন্তব্যে পৌঁছাতে ভাড়া গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ।
তারা ফেরি চালু হওয়ায় ঈদে পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছেন। তবে গণ পরিবহন না থাকায় তাদের ভোগান্তি ছিলো অসহনীয়। তার পরও তারা পথে পথে যানবাহন পরিবর্তন করে অতিরিক্ত কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে নানা ভোগান্তি ও বাঁধা বিপত্তির সহ্য করে বাড়ির উদ্দেশে ছুটে চলেছেন এবং বাড়ি ফিরতে পারছেন এতে তারা আনন্দিত। শত কষ্টের মাঝেও তারা বাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছেন এটাই তাদের কাছে বড় খুশি।
বিআইডব্লিউটিসি বাণিজ্য শাখার এজিএম নাসির মাহমুদ চৌধুরী (পাটুরিয়া )জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রয়োজন অনুযায়ী যাত্রী, রোগীবাহি এ্যাম্বুলেন্স ও বিশেষ কিছু যানবাহন পারাপারেও ফেরি সচল রয়েছে। ঘাটে চাপ থাকলে ফেরি চলাচল যানবাহন ও মানুষ পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। তবে কতগুলো ফেরি চলাচল করবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। প্রয়োজন অনুযায়ী ফেরি সচল থাকবে ঘাটে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।