দুর্বা ডেস্ক :: লকডাউন চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলবে। সর্বাত্মক লকডাউনে ব্যাংকও বন্ধ থাকবে বলে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, তা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরো দেখুণ: জাতীয়করণের দাবী – এস এম তাইজুল ইসলাম
আরো দেখুণ: ডায়েরির রহস্য!
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যতীত দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। এক্ষেত্রে লেনদেন পরবর্তী আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
এর আগে সকালে ব্যাংকিং সেবা চালু করেতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিংসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
১৪ থেকে ২১ এপ্রিল জরুরিসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, গণপরিবহন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে গেল সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
গেল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউনে তফসিলি সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজন পড়লে স্থল, বিমান ও সুমদ্রবন্দর এলাকায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা কর্তৃপক্ষ চাইলে খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে এডি শাখা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক খুলতে পারবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউিটউব চ্যানেলেও এখানে ক্লিক করুণ।