ফিরোজ মাহমুদ :: নামাযের পরে সবচেয়ে বড় ইবাদত হচ্ছে আল্লাহর পথে মন খুলে খরচ করা। আল্লাহ তা’আলা আপনাকে যা কিছু দান করেছেন সেখান থেকে খরচ করুন, এমনকি সময় এবং দেহ মনের শক্তিটুকুও সম্পদ খরচ করা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । কেননা সম্পদই হচ্ছে দুনিয়া প্রীতি ও দুনিয়ার প্রতি আকর্ষন করার মতো সকল দুর্বলতার উৎস।
নবী করীম (স.) সকল মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রশস্ত হৃদয় ও দানশীল ছিলেন। আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন, “যে ব্যাক্তি (তার) বৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ থেকে একটি খেুজর পরিমানও দান করে আর আল্লাহ তো বৈধ অর্থ ছাড়া অন্য কিছু গ্রহনই করেন না। সে ব্যক্তির ঐ দানকে আল্লাহ ডান হাতে গ্রহন করেন যেমন তোমাদের কেউ তার অস্ব সাবককে লালন-পালন করে থাকে। পরিশেষে তা পাহাড়ের মত হয়ে যায়”। (বুখারী)
তিরমিযী শরীফের এক হাদিসে নবী করীম (স.) বলেন, “সর্বোত্তম দান হলো যা রমযান মাসে করা হয়”।
রাসূল (সা.) ছিলেন সবচেয়ে বড় দানশীল। । নবী (স.) প্রবাহমান মুক্ত বাতাসের চেয়েও আরো বেশি মুক্ত হস্তে কল্যানের পথে খরচ করতেন। (বুখারী) আল্লাহর পথে ব্যয় করা মুত্তাকীদের অবশ্য করণীয় বৈশিষ্ট্য।
“রমযান মাসে আল্লাহর পথে ব্যয় করা” রোযার সাথে সংযুক্ত হয়ে তাকওয়া অর্জনের জন্য আপনার সাধনাকে কয়েকগুন বেশি কার্যকর এবং ফলপ্রসু করে দিবে। তাই রমযানে আপনার মুষ্টি খুলে দিন, আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের জন্য, আত্মীয়-স্বজনদের জন্য, ইয়াতিম ও মিসকিনদের জন্য যত সম্ভব আল্লহর পথে ব্যয় করুন।
ক্ষুৎ-পিপাসা সহ্য করার সাথে সাথে পকেটের কিছুটা চাপও অনুভব করুন। কিন্তু যা কিছু দিবেন শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য দিন, “লা নুরিদু মিনকুম যাজাআন ওয়ালা শুকুরা” অর্থাৎ কারো কাছ থেকে বিনিময় বা কৃতজ্ঞতা পাওয়ার আশা মনে আনবেন না।
এমন কাজ করে লাভ যে, আপনি সম্পদ ব্যয় করবেন, পুঁজি সংগ্রহ করবেন আর নিজের হাতেই লাভ এবং পুঁজি সবই নষ্ট করে দিবেন। যাকাত ও পুরো হিসেব করে এ মাসেই শোধ করুন। (যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আগামি সংখ্যায়)
চলবে…..
লেখক: মাদ্রাসা শিক্ষক ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।