মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ কেন?> আল আকসা হলো ৩৫ একর জায়গার ওপর স্থাপিত একটি সীসা-গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদের নাম-যা মুসলমানদের কাছে আল হারাম আল শরিফ হিসাবে পরিচিত। এটি ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান। এর কম্পাউন্ডে রয়েছে ডোম অব দ্য রক (পাথরের আশ্রয়), চারটি মিনার, কম্পাউন্ডের ঐতিহাসিক গেট এবং সুবিশাল মসজিদ।
- আরো পড়ুন: আল আকসায় কেন বারবার সংঘর্ষ!
- আরো পড়ুন: (Guthia Mosque) এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম গুটিয়া মসজিদ
- আরো পড়ুন: মসজিদে নববীর ‘প্রতিবেশী’ শতবর্ষী কোরআনপ্রেমীর ইন্তেকাল
ইহুদিরা এটিকে বলে টেম্পল মাউন্ট-ইহুদি ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান। মসজিদটি যে পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে-সেটি জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত, এটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। ফিলিস্তিনের মুসলমানরা বারবার মসজিদের দিকে ধাবিত হচ্ছে! এর অন্যতম কারণ হলো-
অন্যতম কারণ হলো
- ১. এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহিম এবং মূসা (আ:) সহ অসংখ্য নবী রাসুলের কবর।
- ২. এখানেই আল্লাহর বন্ধু প্রিয় নবী রাসুল ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম সকল নবী রাসুলদের এবং ফেরেস্তাদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ছিলেন। সেই জামাতের ইমাম ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এবং এই জামাতে মতান্তরে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার নবী রাসুল ছিলেন।
- ৩. এখান থেকেই হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বোরাকে করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন।
- ৪. এই মসজিদের নির্মাণের সাথে জড়িয়ে আছে হযরত আদম (আ:) এবং সুলাইমান (আ:) এর নাম।
- ৫. এর সাথে জড়িয়ে আছে খলিফা হযরত উমর (রা:) এর সেই বিখ্যাত উটের বিরল ঘটনা।
- ৬. এখানের সাথেই জড়িয়ে আছে দ্যা গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর অসংখ্য স্মৃতি।
- ৭. এই মসজিদের পাথরের গায়ে লেখা রয়েছে সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।
- ৮. এই মসজিদের জন্য জ্বীনদের দ্বারা পাথর উত্তোলন করা হয়েছে সাগরের তলদেশ থেকে। যা কিনা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব!
- ৯. এই মসজিদে ২ রাকাআ’ত নামাজ আদায় করার জন্য ২৫ হাজার রাকাআ’ত নামাজের সওয়াব লিখা হবে।
- ১০. পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি মহান আল্লাহ এই মসজিদ নিয়ে আলোচনা করছেন।
- আরো পড়ুন: মসজিদে নববীর ‘প্রতিবেশী’ শতবর্ষী কোরআনপ্রেমীর ইন্তেকাল
- আরো পড়ুন: মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
- আরো পড়ুন: ইতিহাসের সাক্ষী দশমিনার তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদ
তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখে তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়। যদি তা করতে অপারগ হয় তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয় তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ঈমানের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর। (বুখারি, হাদিস নং: ১৯৪)
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।