বিশেষ প্রতিনিধি :: হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হক রিমান্ডে পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তিনি ৩টি বিয়ের কথা স্বীকার করেছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়েতে ছিলো না কোনো কাবিননামা ও দেনমোহর। আর বিয়েগুলো কোনো কাজি পড়াননি বলেও জানান তিনি। কাবিন ও দেনমোহর ছাড়া মেলামেশা করা ঠিক হয়নি, ভুল হয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ (শুক্রবার ২১ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকর্মীদের এসব তথ্য জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের কাছে ৩টি বিয়ের কথা স্বীকার করেছে মামুনুল। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়ে কোনো কাজি পড়াননি। এই ২ বিয়েতে কোনো কাবিননামা ও দেনমোহর ছিল না।
তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার করা ধর্ষণের মামলায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ দিন এ মামলায় রিমান্ডে পুলিশকে এসব তথ্য জানান মামুনুল। মামুনুলের দাবি করা এক স্ত্রীর করা ধর্ষণের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য জানান। মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ২ স্ত্রীর একজনের বাড়ি ফরিদপুর, যিনি মামলার বাদী আর আরেক স্ত্রীর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ মামলার বাদীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক বলেন, বাদীর স্বামীর সাথে আগে থেকেই তার পরিচয় ছিলো। সেভাবে ২০০৭-০৮ সাল থেকে তার সর্ম্পক। স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হলে বাদীর সাথে তার সম্পর্ক হয়। বাদীকে বিয়ের সময় কোনো কাজি ছিল না, কাবিননামা-দেনমোহরও নেই।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঐ মামলার ৩ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মাওলানা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর করা সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ ও সহিংসতার তিনটি মামলা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আরো ২ মামলাসহ ৫ মামলায় ৩ দিন করে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।