রোযাদারের জন্য যা করা উচিত নয় এই বিষয় বিস্তারিত আজকের আলোচনা করবেন, ফিরোজ মাহমুদ॥ কিছু কিছু এমন কর্ম করা রোযাদারের জন্য উচিত নয়, যা করার ফলে তার রোযা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তা নি¤œরূপঃ-
১. মুখে থুথু জমা করে গিলে নেওয়া।
২. গরের বা শ্লেমা গিলা।
৩. চুইংগাম জাতীয় কিছু চিবানো।
৪. দাতের ফাকে লেগে থাকা খাবার পরিষ্কার না করা।
৫.অপ্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা।
৬. এমন জিনিস নাকে নিয়ে ঘ্রান নেওয়া (শোঁকা); যা রোযাদারের নিঃশ্বাসের সাথে গলার ভিতরে যেতে পারে।
৭. স্ত্রীর সাথে এমন আচরণ করা, যা রোযাদারের যৌনক্ষুধা জাগ্রত করে।
৮. এমন কিছু করা, যাতে তার শরীর দুর্বল হয়ে যাবে এবং রোযা চালিয়ে যেতে কষ্ট হবে। যেমন- দূষিত রক্ত বহিস্করণ ও অধিক রক্তদান।
৯. কুল্লি ও নাকে পানি নেওয়াতে অতিরঞ্জন করা।
১০. মাজন বা টুথ পেষ্ট দিয়ে দাত মাজা। এছাড়া এমন কিছু কর্ম রয়েছে যা করলে রোযাদারের রোযা অসম্পূর্ন থেকে যায় এবং তার সওয়াব কমে যায়।
আরো পড়ুন:-তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমযান (রোযার আদব সমূহ)
আরো পড়ুন: ফজিলতে রমযান পর্ব:-২
যেমন- মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, গীবত করা, চোগলখোরী করা, অনুরূপ প্রত্যেক সেই কথা বলা, যা শরীয়ত বলা নিষিদ্ধ। কারণ প্রিয় নবী (স:) বলেন, “যে ব্যক্তি রোযা রেখে মিথ্যা কথা বলা ও তার উপর আমল ত্যাগ করতে পারল না সে ব্যক্তির পানাহার ত্যাগ করার মাঝে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই”। (বুখারী, ইবনে মাজাহ)
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এখানে
আমরা এতো কষ্ট করে রোযা রাখছি একমাত্র আল্লাহর জন্য। আর সে রোযাগুলো যদি এসব সামান্য কারনেই নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এতো কষ্টের কী দাম রইল? তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে যাতে করে এ নিষিদ্ধ বিষয়গুলো কোন ভাবেই আমার দ্বারা সংঘটিত না হয়, আল্লাহ আমাদের রোযাগুলো কবুল করুন। আর বিনিময় দিন ‘রাইয়্যান’ নামক জান্নাতের দরজা। আমীন।
চলবে…..
লেখক: মাদ্রাসা শিক্ষক ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব
আরও পড়ুন: রোযা অবস্থায় যা করলে অসুবিধা নেই!
আরো পড়ুন: রোযা অবস্থায় যা করলে অসুবিধা নেই!