রোযা অবস্থায় যা করলে অসুবিধা নেই! এ বিষয় আলোচনা করবেন, ফিরোজ মাহমুদ॥ পূর্ব প্রকাশের পর… দেহের কাটা-ফাটা অঙ্গ থেকে রক্ত পড়লে রোযা নষ্ট হয় না। বরং তা দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার মতই।
অনুরূপ নাক থেকে রক্ত পড়লেও রোযা নষ্ট নয়।
কারন, সেটা মানুষের ইচ্ছার বাইরে। আর ইচ্ছা করে বের করলে তাও দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার মতই। (আহকমুস সাওম)
তেমনভাবে মাথায় বা দেহের অন্য কোন জায়গায় পাথর বা অন্য কিছুর আঘাত লেগে রক্ত ঝরলে রোযা নষ্ট হয় না। (মাজাল্লাতুল বূহুসিল ইসলামিয়্যাহ)
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এখানে রক্তদান করা ঃ
পরীক্ষার জন্য কিছু রক্ত দেওয়া রোযাদারের জন্য বৈধ। এতে তার রোযার কোন ক্ষতি হয় না। (ফাতাওয়া মুহিম্মাহ) তদনুরূপ কোন রোগীর প্রান বাঁচানোর উদ্দেশ্যে রক্তদান করাও বৈধ এবং তাতে রোযার কোন ক্ষতি হয় না।
দাঁত তোলা ঃ
রোযাদারের জন্য দাঁত স্টোন ইত্যাদি থাকে পরিষ্কার করা, ডাক্তারী ভরণ (ইনলেই ব্যবহার করা এবং যন্ত্রনায় দাঁত তুলে ফেল বৈধ। তবে এসব ক্ষেত্রে তাকে একান্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে কোন প্রকার ঔষধ বা রক্ত গিলে না যায়। (তাতা আল্লাকু বিসসিয়াম)
আরো পড়ুন:-তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমযান (রোযার আদব সমূহ)
আরো পড়ুন: ফজিলতে রমযান পর্ব:-২
Dialysis :
রোযাদারের কিডনী অচল হলে রোযা অবস্থায় প্রয়োজনে দেহের রক্ত পরিষ্কার ও শোধন (উরধষুংরং) করা বৈধ। পরিশুদ্ধ করার পর পুনঃরায় দেহ থেকে বের হয়। তবুও তাতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। (সাবউনা মাসআলাহ ফিস-সিয়াম)
তবে তা দিনে ব্যবহার না করে রাত্রে ব্যবহার করাই উত্তম ও সাবধানতা মূলক কাজ। যেহেতু নবী (স:) বলেন, “যে বিষয়ে সন্দেহ আছে সে বিষয় বর্জন করে তাই কর যাতে সন্দেহ নেই”। (তিরমিযি)
ক্ষতস্থানে ঔষধ ব্যবহার ঃ
রোযাদারের জন্য নিজের ক্ষতস্থানে ঔষধ দিয়ে ব্যান্ডেজ ইত্যাদি করা দূষনীয় নয়, তাতে সে ক্ষত গভীর হোক অথবা অগভীর। কারণ, এ কাজকে না কিছু খাওয়া বলা যাবে, আর না পান করা। তা ছাড়া ক্ষতস্থানে স্বাভাবিক পানাহারের পথ নয়।
মাথা ইত্যাদি নেড়া করা ঃ
রোযাদারের জন্য নিজ মাথার চুল বা নাভির নিচের লোম ইত্যাদি চাঁছা বৈধ। তাতে যদি কোন স্থান কেটে রক্ত পড়লেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না। পক্ষান্তরে দাড়ি চাঁছা সব সময়ই হারাম; রোযা অবস্থায় অথবা অন্য কোন অবস্থায়। (মাজাল্লাতুল ইসলামিয়্যাহ)
চলবে…..
লেখক ঃ মাদ্রাসা শিক্ষক ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব