বিশেষ প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম ও সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ আটজনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। আজ (বৃহস্পতিবার) পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখায় দেওয়া চিঠিতে তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ার প্রধানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তারা দেশ ছাড়তে পারেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
যারা দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে দুদক, তারা হল- শাহ আলম এবং তার দুই স্ত্রী শাহীন আক্তার শেলী ও নাসরিন বেগম, এসকে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফসিএল) এভিপি আল মামুন, পিপলস লিজিংয়ের ম্যানেজার (ট্রেজারি) অভীক সিনহা ও ঢাকার শান্তিনগরের বাসিন্দা অতসী মৃধা।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ওই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রয়েছেন এস কে সুর চৌধুরী।
পিপলস লিজিং ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ অন্তত পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার)। অভিযোগ রয়েছে তাকে এই অনিয়মে সহায়তা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম। এছাড়া এই লোপাটের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ আরো অনেকেই নীরব ভূমিকা পালন করেছেন।
পিকে হালদারের অন্যতম সহযোগী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকের আদালতে দেওয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উঠে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রাশেদুল হক। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনে।