চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত ও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। নির্মম মহামারি করোনাকালে লকডাউনে যখন নিন্মবিত্ত ভাসমান নাগরিকে পরিণত হতে চলেছে, যখন নিন্মবিত্তের কাতারে এসে দাঁড়াচ্ছে কোটি কোটি মধ্যবিত্ত তখন নিজেদের ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে শ্রমিকদেরকে। ৫ শ্রমিক হত্যাকান্ডের পর পুলিশ আবার চড়া গলায় বলছে- আমাদের উপর হামলা করেছে বলেই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছি। অথচ ষ্পষ্টত বলা হয়েছে আসামীকে কোনভাবেই বুকে গুলি করা যাবে না। গুলি করতে হলে পায়ে করতে হবে।
বরেণ্য কবি শামসুর রাহমানের ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ।’ স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সময় বলা হলেও এখনো যেন কার্যকর রয়েছে সেই স্বৈরাচারী রাজনীতি-পুলিশ-প্রশাসন-নীতি বিবর্জিত এমপি-মন্ত্রীদের অধিকাংশ। শ্রমিক হত্যাকান্ড সেই অন্ধকারের রাস্তায় অগ্রসর হওয়ারই প্রমাণ। নির্মমতার রাজান্ধকারের মধ্যে ঘটিত এই নির্মমতায় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন- ‘আজ সকালে বেতন-ভাতা নিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তারা থানায় জানান। পুলিশ এলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকদের পাশাপাশি এলাকাবাসীও সংঘর্ষে যোগ দেয়।’ আর এই সব বর্বরতার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক মেহেদী হাসান বলেছেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন-ভাতা সময় মতো না দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ করছি। পুলিশের গুলিতে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছে।’
বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা অতিক্রম ঠিকই করেছি স্বাধীনতা পাইনি, স্বাধীন হইনি; তার সর্বশেষ প্রমাণ এই শ্রমিক হত্যার রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ। যা আমাদের দেশের জন্য নির্মম ভবিষ্যতই তৈরি করছে না; নিয়ে আসছে চরম দুঃসময়। যা অন্তত জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ের পর আমরা কোনভাবেই প্রত্যাশা করি না। অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতির রাজত্বে বর্তমান সময়ে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে যখন সর্বাত্মক লকডাউন চলছিলো; তখন তথাকথিত কঠোর লকডাউনের ৫ম দিন রোববার দুপুরে এলিফ্যান্ড রোডে এক চিকিৎসকের পরিচয়পত্র চাওয়া নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এই ঘটনার ভিডিও করেন একটি জাতীয় পত্রিকার এক ফটো সাংবাদিক। পরে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি প্রাইভেট কারযোগে এলিফেন্ট রোডের ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট তার গাড়ি থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চান। বারবার অনুরোধ করেও তার কাছ পরিচয়পত্র দেখতে পাননি উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা। ওই চিকিৎসক জানান, তিনি পরিচয়পত্র বাসায় রেখে এসেছেন।একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন চিকিৎসক জেনি। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান। তিনি বলেন, করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’
এমন যৌক্তিক কথার পরও দুপয়সা কামানোর চিন্তামগ্ন নিউমার্কেট থানার ওসি এসএম কাইয়ুম ওই চিকিৎসককে বলেছেন, আপনি আমাদের ধমক দিচ্ছেন কেন? জবাবে চিকিৎসক বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর মেয়ে। জবাবে ওসি বলেন, আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আপনি আমাকে শোনাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার কথা। ডাক্তার তখন নিজের পরিচয় সম্পর্কে বলেন, ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি বিএসএমএমইউ অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে। বারবার তাকে হয়রানী করার কারণে একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসক জেনি বলেন, তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই, তাই তুই পুলিশ। আমি চান্স পাইছি তাই আমি ডাক্তার। বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে ওই চিকিৎসক তার কাছে পুলিশ সদস্যদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন। পরবর্তীতে নারী চিকিৎসকের অন্য সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে বিষয়টি সমাধান হয়। প্রায় আধা ঘন্টা পরে চিকিৎসক জেনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এমন নির্মম পরিস্থিতিতে দেশের পুলিশ-প্রশাসন নির্মমতায় মেতে উঠছে। একে তো নাচুনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি পরায় লকডাউনের নামে মানুষ মারার অপরিল্পিত তথাকথিত প্রশাসনিক কায়দায় অসংখ্য মানুষ শূণ্য হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিদিন। শুধু এখানেই শেষ নয়; করোনা ভাইরাস আতঙ্কে একের পর এক নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ৷ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্টেডিয়ামের খেলা থেকে শুরু করে বড় বড় সব বৈশ্বিক আয়োজন৷ স্কুল, কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কমে আসছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড৷ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার কারণে লোকসানে পড়ছে বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলো৷ ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ার আশংকায় রয়েছে বড় বড় প্রতিষ্ঠান৷ প্রতিদিনই ধ্বস নামছে প্রধান সব শেয়ার বাজারগুলোতে ৷ বলছে পরপর আগামী দুই প্রান্তিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখা দিবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে৷ চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০১৯ সালের চেয়ে অর্ধেক কমে যাবে, জানিয়েছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সংগঠন ওইসিডি৷ ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে দুই দশমিক সাত ট্রিলিয়ন ডলারের লোকসান ঘটাবে, যা গোটা যুক্তরাজ্যের জিডিপির সমান৷ এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান মন্দায় পড়তে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে৷ এই অভিঘাত বাংলাদেশের উপর কতটা পড়বে?
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে রপ্তানি আয় এমনিতেই পড়তির দিকে৷ জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি কমেছে চার দশমিক সাত নয় ভাগ৷ অব্যাহতভাবে কমছে পোশাক রপ্তানি৷ ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এই পণ্যটির প্রধান বাজার৷ করোনা ভাইরাসের কারণে সেখানকার বাজারে এরিমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ ইটালিতে মানুষ ঘর থেকেই বের হতে পারছে না৷ যেখানে ১৪৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ গত বছর৷ ধীরে ধীরে একই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে গোটা ইউরোপে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও৷ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ৬২ ভাগ আসে ইউরোপ থেকে আর ১৮ ভাগই যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷
তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন তারা এরই মধ্যে চাহিদা কমে যাওয়ার আঁচ পেতে শুরু করেছেন৷ কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বাজারে শতকরা তিন দশমিক এক ভাগ বিক্রি এরইমধ্যে কমে গেছে, কমে যেতে শুরু করেছে ক্রেতাদের কার্যাদেশও৷ এফবিসিসিআই’র সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের ভয় হচ্ছে ইউরোপ নিয়ে৷ সেখানে যদি করোনা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পোশাকের চাহিদা অনেক কমে যাবে৷ মানুষ যদি ঘর থেকে বেরই না হতে পারে তাহলে পোশাক কিনবে কিভাবে?’’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচকই নিম্নমুখী৷ তার মধ্যেও ভাল করছিল রেমিট্যান্স৷ চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ১০৪২ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ ভাগ বেশি৷ এই গতি ধরে রাখা এখন কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্যে৷ যেইসব দেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সেখানে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এরইমধ্যে কমে গেছে৷ সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিক বা ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনমত আয় করতে না পারলে দেশে পরিবারের কাছে আগের মতো টাকা পাঠাতে পারবেন না৷ তাই স্বভাবতই রেমিট্যান্স কমতে থাকবে৷ এর প্রভাব পড়বে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে৷ করোনার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দামে ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে৷ শুধু চলতি বছর ৫০ ভাগ কমে অপরিশোধিত ব্রেন্ট বিক্রি হচ্ছে ৩৩ ডলারে৷ এই পরিস্থিতি খবু সহসায় কাটবে এমন আভাস মিলছে না৷ কারণ বৈশ্বিক অর্থনীতি ধীর হলে জ্বালানির চাহিদা এমনিতেই কমতে থাকে৷ অন্যদিকে তেলের উৎপাদন কমিয়ে বাজার সামাল দেয়ার বিষয়েও একমত হতে পারেনি সৌদি আরব ও রাশিয়া৷
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর মতোই দ্রুতগতিতে বাড়ছে জীবাণুর ভয়৷ সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা ধরনের জীবাণু-প্রতিরোধকের চাহিদা৷ কেমিক্যাল সংস্থাগুলির বিভিন্ন পণ্যের বিক্রিও বাড়ছে৷ কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চীনের সীমান্তে আটকা থাকার ফলে নতুন মাল পৌঁছতে পারছে না৷ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান দুই চালিকা শক্তি রপ্তানি ও রেমিট্যান্স৷ রপ্তানি আয় কমে গেলে দেশের শিল্প কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের আয় কমে যাওয়া বা কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তা তৈরি হবে৷ অন্যদিকে প্রবাসীরা টাকা পাঠানো কমিয়ে দিলে তাদের পরিবার দেশে আগের মত খরচ করতে পারবেন না৷ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যবসা বাণিজ্যে৷ কমে যাবে বেচাকেনা৷ চাহিদা কমে গেলে ভোক্তা পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে৷ আবার বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে অর্থনীতির গতি ধীর হয়ে যাবে৷ সব মিলিয়ে চলতি বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ বড় চ্যালেঞ্জ হবে সরকারের জন্যে৷ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি এরিমধ্যে বলেছে বাংলাদেশের জিডিপি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে এক দশমিক এক ভাগ কমে যেতে পারে৷ তাদের হিসাবে এতে মোট তিনশো কোটি ডলারের ক্ষতি হবে, আট লাখ ৯৪ হাজার ৯৩০ জন চাকুরি হারাবে৷ এই বর্তমানে নির্মম পুলিশ-প্রশাসনের অন্ধকারাচ্ছন্ন নীতির বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারের সর্বনিন্ম স্তরের চাকুরীজীকেও। তা না হলে লকডাউন নামক অপরিকল্পিত তথাকথিত এই রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থায় অন্ধকারেই রয়ে যাবে বাংলাদেশ। স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যা আমরা আমজনতা-সচেতন নাগরিক কখনোই প্রত্যাশা করি না।
নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মী-নগণ্য লেখক হিসেবে বরাবরই সকল অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কল তুলেছি। তা কোন কোন গণমাধ্যম প্রকাশ করেছে, কোন কোন গণমাধ্যম প্রকাশ করেনি। তাতে একচুল পরিমাণও বিচলতি হইনি। বরং সাহসের সাথে বরাবরের মত অবিরত এগিয়ে গিয়েছি। ছাত্র-যুব-জনতার রাজনৈতিক অধিকার-মৌলিক অধিকার রক্ষার মধ্য দিয়ে আমার এই এগিয়ে চলায় অবিরাম মামুনুল-মান্না-নুর-সাকী-মাহী-পার্থ আর ববীদের মত অবিরত দেশের সাথে বিশ^াস ঘাতকতাকারীদেরকে দেখেছি। দেখেছি দিনের বেলা জনগনের কথা বলে রাতের বেলা লোভি-লম্পটের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে। তারা কখনোই দেশকে ভালোবাসেনি, ভালোবাসেনি দেশের মানুষ। যদি দেশকে ভালোবাসতো, তাহলে কখনো শ্রমিক হত্যার পরে ঘরে বসে সহ্য করতে পারতো না। তথাকথিত কোটা আন্দোলন ব্যতিত যারা দেশকে আরো কিছুই দিতে পারেনি; ধর্মান্ধতা ব্যতিত যাদের আর কোন শক্তি নেই তারাই বড় বড় কথা বলে দিনের বেলা; রাতের বেলা আপোস করে সরকারের সাথে। এই পরিস্থিতিতে সত্যকে চিনুন, সত্যর সাথে থাকুন, বিবেক বিবেচনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলুন নিরন্তর ‘শাদাকে শাদা আর কালোকে কালো’ বলে…
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।