সিনেমাকেও হার মানলো “চার মাস সাগরে ভেসে ঠাঁই হলো দ্বীপে“

সিনেমাকেও হার হার মানলো “চার মাস সাগরে ভেসে ঠাঁই হলো দ্বীপে“ চার মাস সাগরে ভেসে ঠাঁই হলো দ্বীপে একটি নৌকা প্রায় চার মাস সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পৌঁছেছে। রোহিঙ্গাদের বহন করছিল নৌকাটি।

তবে ইন্দোনেশিয়ায় এসব রোহিঙ্গার আশ্রয় হবে কি না সেটা অনিশ্চিত।

কর্তৃপক্ষ শনিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১১৩ দিন সমুদ্রে ভাসার পর ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের ইদামান দ্বীপে উঠেছেন ৮১ রোহিঙ্গা।

ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ৯০ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নৌকাটি মালয়েশিয়ার পথে রওনা হয়।

কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার রোহিঙ্গা নৌকাটি ঢুকতে দেয়নি। পরে নৌকাটি আন্দামান সাগরে হারিয়ে যায়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই ঘটনায় উদ্বেগ জানায়।

এরপর ওই শরণার্থীদের সাহায্য করতে ভারতীয় কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ আন্দামান সাগরে পাঠানো হয়।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের খাবার এবং প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস দিলেও দেশে ঢুকতে দেয়নি। পরে রোহিঙ্গাদের নৌকাটি ফের বাংলাদেশের দিকে রওনা হয়।

কিন্তু বাংলাদেশও তাদের নেয়নি। সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে অবশেষে তাদের ঠাঁই হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপে। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের যেখানে রাখা হয়েছে সেটা বসবাস যোগ্য নয়। সেখানে প্রচুর মশা রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে জাকার্তার জাতীয় সরকার তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রোহিঙ্গা সংকট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আরাকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লিউয়া বলেন, আচেহ প্রদেশে পৌঁছানো ৮১ রোহিঙ্গা এখন নিরাপদে আছে। তাদের আবারও সাগরে ঠেলে দেয়া হবে না বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

বৌদ্ধ-অধ্যুষিত মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী। মানব পাচারকারীরা উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে গোপনে তাদের সমুদ্রপথে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে।

আরো পড়ুন:২ সন্তান নীতি থেকে সরে আসল চীন

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর

জেনে নিন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়। একবিংশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *