চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা সহিংসতার ৩ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুফতি হারুন ইজাহারের আবার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। চলতি বছরের গত ৩ মে তাকে ৩ মামলায় ৩ দিন করে মোট ৯ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আজ (মঙ্গলবার ১১ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কৌশিক আহমেদের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। বিষয়টি জানান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, হারুন ইজাহারকে হাটহাজারী থানার এক মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চলতি বছরের গত ২৮ এপ্রিল (বুধবার) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে মুফতি হারুন ইজহারকে আটক করা হয়। পরে গত ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরার আদালতে হাজির করার পর পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর গত সোমবার (৩ মে) ৩ দিন করে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
মুফতি হারুন ইজহার ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার মাদ্রাসায় হ্যান্ড গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যান এবং ৫ জন আহত হয়েছিলেন। পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতলে ৫০০ গ্রাম করে ৯ হাজার গ্রাম এসিড এবং গ্রেনেড তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিলো। ঐ ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন এবং তার বাবা ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধেও মামলা বিচারাধীন।
এ ঘটনায় ৩টি ও হেফাজতের নাশকতার ৮ মামলাসহ মোট ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে।
এছাড়া রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চের সময় সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের হওয়া ৩ টি মামলায়ও তিনি আসামি। তার বিরুদ্ধে আগের ১৭টির পাশাপাশি এবার নতুন করে আরও ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা মোট ২২টি।
এছাড়া বিগত ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে কানেকশনের অভিযোগে একবার মুফতি হারুন ইজাহার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বিগত ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়া লস্কর-ই-তৈয়বার দুই জঙ্গি নাজের ওরফে নাজের পারবন এবং শফিক ওরফে সাহাফাজ শামসুদ্দিন পুলিশকে জানায়, তাদের সাথে মুফতি হারুনের কয়েক দফা বৈঠক হয়। তারা মার্কিন ও ভারতীয় দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা নিয়েছিল।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।