দুর্বা ডেস্ক :: বাংলাদেশের ২৯টি জেলা করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। জেলাগুলো হলো:- ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুর, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, নওগাঁ, রাজশাহী ইত্যাদি।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, করোনায় শনাক্তের হার বিবেচনায় ৬টি জেলাকে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এর সপ্তাহ খানেক পরে অর্থাৎ ২০শে মার্চ এই সংখ্যা বেড়ে ২০টিতে দাঁড়ায় এবং ২৪ তারিখের বিশ্লেষণের পর মোট ঝুঁকিপূর্ণ জেলা ২৯টি হয়।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ. এস. এম. আলমগীর জানান, বাংলাদেশের যেসব জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি সেগুলোকেই মূলত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সাধারণত ওই জেলাগুলোর প্রশাসন যাতে সংক্রমণ কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে পারে সে উদ্দেশ্যেই এই টালি করা হয়। এসব জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে বড় জেলাগুলো বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেয়া হলে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ সক্ষমতা তৈরি হয়। এই সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আইইডিসিআর উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন মনে করেন, যে ২৯টি জেলায় আক্রান্তের হার বাড়ছে সেগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এসব জেলায় মানুষের যাতায়াত বেশি। একই সাথে তারা অবাধে বদ্ধ ঘরে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে।
এছাড়া এসব শহরের সাথে ঢাকা শহরের সাথে যোগাযোগটা অন্য জেলার চাইতে বেশি। যার কারণে দ্রুত গতিতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলেও জানান আইইডিসিআরের এই উপদেষ্টা।