দেহব্যবসায় ঝুঁকছেন ইউরোপে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা…
কোভিড-19 সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে না কিছুতেই। বাংলাদেশ নয় পৌর পৃথিবী জুড়ে একই অবস্থা। যার ছাপ লেগেছে সকল কর্মসংস্থার উপর। সাধারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্টে উন্নত শিক্ষা লাভের জন্য পারি জমান।
পড়াশুনার পাশাপাশী ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর বড় বড় শহরগুলোতেও হোটেল-রেস্তোরাঁ কাজ করে নিজের পড়াশুনার খরচ করা হয়।
এসকল শিক্ষার্থীরা কোভিড-১৯ এর কারনে কর্মহীন পড়ছেন।
যারফলে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন বিদেশরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।
ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর মত বড় বড় রাষ্ট্রে পড়াশুনা করতে আসা শুধু বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাই না। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরাও দেহব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন।
ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর বড় বড় শহরগুলোতেও হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। বহির্বিশ্ব থেকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার শিক্ষার্থী ও তরুণরা এসব রেস্তোরাঁয় কাজ করত।
এই উপার্জন দিয়ে পড়ালেখার খরচ আসত, সংসার চলত।
করোনা মহামারির ফলে ব্রিটেনসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশেই পাব এবং দোকানপাট বন্ধ। এসব স্থানে কাজ করে বহু শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফি পরিশোধ করতেন।
এসব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে এসব শিক্ষার্থীর অনেকে সম্ভ্রম বিক্রির পথ বেছে নিচ্ছেন। এমতাবস্থায় এসব শিক্ষার্থীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে দেহপসারিণীদের ইউনিয়ন ইংলিশ কালেকটিভ অব প্রস্টিটিউটস (ইসিপি)।
তারা বলেছে, তাদের কাছে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজপড়ুয়া বহু যুবতি সাহায্য চেয়ে হেল্পলাইন্সে যোগাযোগ করছেন।
>দেহব্যবসা করতে বহু যুবতি সাহায্য চেয়ে হেল্পলাইন্সে যোগাযোগ করছেন
>দেহদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনকারী
> নগ্ন ছবি বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করছে
তারা সম্ভ্রম নিয়ে ব্যবসা করতে চান।
সেই অর্থ দিয়ে এসব শিক্ষার্থী তাদের ফি পরিশোধ করতে চান। এ খবর দিয়েছে ব্রিটেনের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি মেইল।
ইসিপি বলেছে, এ বছর দেহদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনকারী এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা এরইমধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেহপসারিণীদের অধিকারবিষয়ক ওই গ্রুপটি আরও বলেছে, লকডাউন দেওয়ার ফলে অসংখ্য শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
যারফলে দেহব্যবসার মাধ্যমে উপার্জনকারী তরুণী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছেন।
ব্রিটেনের ওই পত্রিকাটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী নিজের নগ্ন ছবি বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করছে।
কারণ, বার এবং দোকানপাটে তাদের জন্য কোনো কাজ নেই। তাই প্রতিদিন এভাবে অর্থ উপার্জন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে প্রতিদিন আটজন যুবতি শিক্ষার্থী ওই ইসিপির কাছে ফোন করছেন।
এক্ষেত্রে কোনো কোনো ইউনিভার্সিটি নির্দেশনা প্রকাশ করছে। তাতে বলা হয়েছে, কীভাবে নিরাপদে দেহ বিক্রি করতে হবে।
ইসিপির মুখপাত্র লরা ওয়াটসন বলেছেন, টিউশন ফি পরিশোধ করতে পতিতাবৃত্তিতে যুবতি শিক্ষার্থীদের যুক্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এই গ্রুপে যেসব যুবতি যুক্ত হয়েছেন তারা কমপক্ষে ৩০ হাজার পাউন্ড ঋণ পরিশোধ করতে এ পেশায় এসেছেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে অসংখ্য নারী তার চাহিদা মেটাতে যৌনকর্মকে বেছে নিতে শুরু করেছেন। পাব এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যুবতির সামনে কোনো বিকল্প খোলা নেই। তাই তারা বেঁচে থাকার জন্য এসব কাজ করছেন। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসিপি।
তখন থেকেই তারা যৌনকর্মীদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে, তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মিসেস ওয়াটসন বলেন, প্রথমবার লকডাউন দেওয়ার পর গণহারে তরুণীরা অনলাইনের সঙ্গে যুক্ত হন।
আরো পড়ুন:গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ!