জেনে নিন পায়ের গোড়ালি ফাঁটার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমাদের অনেকেরই পায়ের গোড়ালির নিচের অংশ ফেঁটে চৌচির হয়ে যায়। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে পায়ের পাতার যে অংশে সাধারণত বেশি চাপ পড়ে সেই অংশই মুলত ফেঁটে যায়। শীতকালে এ সমস্যা আরো প্রকট হয়ে থাকে। আসুন এর বিভিন্ন কারণ এবং প্রতিকার সমূহ এক নজরে দেখে নেই।
- আরো পড়ুন: শীতকালে সঠিকভাবে ত্বকের পরিচর্যা করার উপায়
- আরো পড়ুন: প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি
- আরো পড়ুন: ক্যান্সারের ১১ লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না
পায়ের গোড়ালি ফাঁটার কারণ ও প্রতিকার
পা ফাঁটার কারণসমূহ
- পা ফাঁটার সাধারণ কারণ হলো চামড়ার শুষ্কতা। গোড়ালির ধার বরাবর চামড়া পুরু হলে লক্ষণগুলি আরও বেড়ে যায়৷
- শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস।
- শারীরিক স্থুলতা।
- অধিক সময় খালি পায়ে হাঁটা।
- শক্ত চটি অথবা গোড়ালি খোলা জুতো পরা।
- পায়ের তলার ঘর্মগ্রন্থি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া।
পা ফাঁটা থেকে পরিত্রাণের উপায়সমূহ
- শুষ্ক ত্বকের অন্যতম কারণ হলো পানিস্বল্পতা। যেহেতু পানি স্বল্পতার জন্য পা ফেঁটে যায় তাই দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শীতকালীন শাকসব্জি রাখতে হবে।
- পা সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষ করে, বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর হাল্কা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
- অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার না করে হালকা গরম পানিতে গোসল করার চেষ্টা করতে হবে। গোসল শেষে পা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
- পায়ের ত্বকের শুষ্কতা রোধে গোসলের পূর্বে নারকেল তেল, অ্যালমন্ড তেল ইত্যাদি মাখতে হবে। গোসল শেষে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার অথবা ক্রিম লাগাতে হবে।
- সবসময় আরামদায়ক জুতো ব্যবহার করতে হবে। যারা নিয়মিত বাইরে বের হন তারা পরিষ্কার মোজাসহ পা বন্ধ জুতা ব্যবহার করতে পারেন।
- রাতে ঘুমোবার পূর্বে গ্লিসারিন, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ভালো কোন ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার অথবা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে।
- পা ফাঁটার সমস্যা বেশী বেড়ে গেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- আরো পড়ুন: জুতা পরে অন্ধরাও পথ চলতে পারবেন সাধারণ মানুষের মতো
- আরো পড়ুন: পর্নোগ্রাফি আইন সম্পর্কে আলোচনা ও বিচার
- আরো পড়ুন: প্রযুক্তিতে ৫’শ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
পায়ের গোড়ালি ফাঁটা কেবল একটি সাধারণ সৌন্দর্যসংক্রান্ত সমস্যাই নয় এর কারণে বিরক্তিকর উৎপাতসহ গুরুতর শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে৷ পা ফাঁটার সমস্যা শুরু হয় কিছু হালকা দাগ দিয়ে হলেও আস্তে আস্তে তা ব্যথাদায়ক শুষ্কতা এবং রুক্ষতায় পরিণত হয়। যাদের ডায়বেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা যদি সময়মতো পা ফাঁটার চিকিৎসা না করে তাহলে জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়ে বিপজ্জনক আকার ধারন করতে পারে। তাই এই সমস্যাকে হেলা না করে পায়ের অধিক যত্ন নেয়া উচিত।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।