সল্প বাজেটে যে ১০টি ব্যবসায় মার্কেটিং করবেন । চলুন জেনে নেওয়া যাক টিপসগুলো। ব্যবসার জন্য মার্কেটিং এর পেছনে সবসময়ই যে অনেক টাকা খরচ করতে হবে, সেটি একটি ভুল ধারণা। বর্তমানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের মার্কেটিং এ নানা ধরণের বুদ্ধিদীপ্ত আইডিয়া প্রয়োগ করছেন এবং তাতে বেশ সাড়াও পাচ্ছেন। তাই আপনার মার্কেটিং বাজেট যদি কম হয়ে থাকে, তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কম বাজেটের অথচ ফলপ্রসূ কিছু টিপস নিয়েই সাজানো আজকের এই আর্টিকেল।
সল্প বাজেটে যে ১০টি ব্যবসায় মার্কেটিং করবেন
১. সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ নজর দিন
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করুন। ফেসবুক, টুইটার, লিংকড ইন, পিন্টারেস্ট, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি সাইটগুলোতে বিজনেস অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং সরব থাকুন। অনলাইনেই তৈরি করুন একটি শক্তিশালী ও সুবিশাল নেটওয়ার্ক।
আরো পড়ুন: মার্কেটিং দক্ষতায় ব্যবসার সফলতা
আরো পড়ুন: কেমিক্যাল ব্যবসা করার বিস্তারিত
আরো পড়ুন: সেরা ১০টি ইউনিক বিজনেস
২. ইনফোগ্রাফিক্স ব্যবহার করুন
ইনফোগ্রাফিক্স মার্কেটং-এর খুবই শক্তিশালী একটি টুল, কারণ অল্প জায়গায় খুব চমৎকারভাবে অনেক তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এটি খুব সহজেই সবার দৃষ্টিগোচর হয়, বোঝা সহজ এবং মানুষ শেয়ারও করে প্রচুর!
৩. ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করুন
পণ্যের ছবি দেওয়ার পাশাপাশি ছোট নির্দেশনামূলক কিংবা প্রচারমূলক ভিডিও-ও তৈরি করুন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিডিও খুব ভালো দর্শক তৈরি করে।
৪. বিজ্ঞাপন দিন
অনলাইনে মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন দেওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন, বিশেষ কোনো প্রদর্শনী বা ইভেন্টের আগে দিয়ে ৭ দিন বা ১ মাসের জন্য স্পন্সর্ড অ্যাড দিতে পারেন।
৫. লিংকড ইন প্রোফাইল তৈরি করুন
বিজনেস নেটওয়ার্কিং এর জন্য লিংকড ইন একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সাইট। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে এর ব্যবহার তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। লিংকড ইন-এ চমৎকার একটি প্রোফাইল তৈরি করুন। শুধুমাত্র কানেকশন তৈরি করলেই হবে না, গ্রুপগুলোতে যোগ দিন, ডায়লগে অংশ নিন, ব্যক্তিগত বার্তা পাঠান কানেকশনগুলোকে এবং ব্লগ পোস্ট শেয়ার করুন। প্রচার এবং আইডিয়া শেয়ারের জন্য এটি দারুণ কাজে দেয়।
৬. কাস্টমার রেফারেল প্রোগ্রাম অফার করুন
ফ্রি স্যাম্পলিং এর মাধ্যমে কাস্টমারদের ফিডব্যাক নিন। মার্কেটিং-এ ওয়ার্ড অভ মাউথ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কাস্টমারদের ফিডব্যাকসমূহ আসলে ওয়ার্ড অভ মাউথ হিসেবেই কাজ করে।
৭. অনলাইন কন্টেস্টের আয়োজন করুন
অনলাইনে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কন্টেস্টসমূহ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। একই সঙ্গে প্রচার এবং গ্রাহকের নিজেদের পণ্য ব্যবহার করতে দিয়ে তাদের মনোভাব সম্বন্ধে ধারণা নেওয়া ও সন্তুষ্টি তৈরি করা যায় এই কন্টেস্টেগুলোর মধ্য দিয়ে।
৮. ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারশিপ তৈরি করুন
আপনার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যকার এমন কারো সঙ্গে পার্টনারশিপ তৈরি করুন, যে বা যারা আপনার সরাসরি প্রতিযোগী নয়। এটি করলে সম্পূর্ণ নতুন একটি অডিয়েন্স তৈরি হয়। এটি অফলাইনে কোনো ইভেন্ট কিংবা অনলাইনেও করা যায়। যেমন: আপনি যদি ওয়েডিং প্ল্যানার হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি কোনো বেকারি শপ কিংবা বিউটি পার্লারের সাথে পার্টনারশিপে যেতে পারেন।
৯. সৃজনশীল বিজনেস কার্ড তৈরি করুন
কথায় বলে, “First impression is the best impression”. একটি চমৎকার বিজনেস কার্ড কিন্তু হতে পারে আপনার ছোট্ট ব্যবসাটির জন্য একটি মাইলফলক!
আরো পড়ুন: কর্মসংস্থান ব্যাংকে জামানত বিহীন লোন!
আরো পড়ুন: বিক্রি বৃদ্ধির কৌশল!
আরো পড়ুন: ৮ হাজার টাকায় শুরু করা ব্যবসায়ী এখন ১৪ লাখ টাকার মালিক!
১০. ই-মেইল মার্কেটিং
নতুন নতুন সংযোগ তৈরি এবং ক্রেতা আকর্ষণে ই-মেইল মার্কেটিং হতে পারে একটি দারুণ লো-বাজেট মার্কেটিং টুল। এই ছিল স্বল্প বাজেটে ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু মার্কেটিং টিপস। শুভ কামনা রইল আপনার ব্যবসার জন্য।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।