হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি জানতে ২ পরীক্ষা । আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে এখন তরুণদের মধ্যেও বেড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি। বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। যদিও অনেকেরই ধারণা, বয়স বাড়তেই বোধ হয় হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- আরো পড়ুন: হার্ট ব্লকেজের সমস্যা নিমেষে দূর করবে যে ৬ খাবার
- আরো পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের ৫ অস্বাভাবিক উপসর্গ
- আরো পড়ুন: শক্তি বৃদ্ধি ও হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাবে সুজি
তবে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনা এমন ধারণাকে উড়িয়ে দিয়েছে। গত বছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খুব কম বয়সেই মৃত্যু হয় বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার। আবার কয়েক সপ্তাহ আগেই বলিউডের কৌতুকশিল্পী ও অভিনেতা সুনীল গ্রোভারও আক্রান্ত হয়েছিলেন হৃদরোগে। অস্ত্রোপচারের পরে যদিও এখন তিনি সুস্থতার পথে।
ধমনীতে বাধা পেয়ে যখন হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়, মূলত তখনই হৃদরোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে কেউ যদি উচ্চ কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন, তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। নিয়মিত যেমন রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষার মাধ্যমে ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ করা হয়। ঠিক তেমনই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না তাও জানা যায় বহু আগে থেকেই। তাও আবার মাত্র ২টি পরীক্ষার মাধ্যমেই।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি জানতে ২ পরীক্ষা সম্পর্কে:
সিআরপি (সি-রিঅ্যাকশন প্রোটিন) পরীক্ষা
লন্ডনের ‘ন্যাশনাল হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউট’এর বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সিআরপি এক ধরনের প্রোটিন। হার্ট অ্যাটাকের পর রক্তে যার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
রক্তে এই প্রোটিন বৃদ্ধি পেলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সিআরপি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় ৩ বছর আগে থেকেই জানা যায় কারো হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না। সিআরপি’র মাত্রা সাধারণত ২ মিলিগ্রাম বা তার নীচে থাকা স্বাভাবিক। তবে এর মাত্রা যদি ১০-১৫ মিলিগ্রামে পৌঁছায়, তাহলে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- আরো পড়ুন: শিশু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ, কী করবেন?
- আরো পড়ুন: হজম শক্তি বৃদ্ধি ও হার্ট ভালো রাখবে কালো জাম
- আরো পড়ুন: শসা হার্টের উপকারী?
চোখের রেটিনা পরীক্ষা
সিআরপি ছাড়া আরও একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগেই আপনি জানতে পারবেন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না। শরীরের প্রায় সব রোগের পূর্ব লক্ষণই প্রকাশ পায় চোখে। হৃদরোগের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা ঘটে না। চোখে রেটিনার চরিত্র, আচার-আচরণ দেখে অনেক আগেই হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
এই অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন গুগলের আট সদস্যের একটি গবেষক দল। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা বোঝার প্রাথমিক উপায় হিসেবে চিকিৎসকরা অনেকদিন ধরেই রেটিনা পরীক্ষা করে আসছেন। চোখে রেটিনার ধমনীতে সামান্য বদল চোখে পড়লেও তা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়াও কয়েক ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিকভাবে রেটিনা পরীক্ষার চল আছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।