জেনে নিন ২৫ এফিলিয়েট মার্কেটিং ট্রেন্ডস সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। এফিলিয়েট মার্কেটিং মারাত্মক পরিবর্তণশীল, ট্রিপিক্যালি যেটাকে ট্রেন্ডস্ বলা হয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং ট্রেন্ডস্ বলতে এই মার্কেটের প্রতিয়মাণ পরিবর্তণকে বোঝানো হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনকি, এই ইন্ড্রাস্ট্রি দ্রুত বড় হচ্ছে আর সেই সাথে এর ডেভেলপিং এর জায়গাটাও সবার মনোযোগ দাবী করছে।
কিন্তু, ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে এফিলিয়েট ইন্ডাস্ট্রিতে?
সেটাই আমরা জানার চেষ্টা করবো এই পোস্ট থেকে। এর আগের পোস্টে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিসংখ্যাণ জেনেছিলাম। আর এই পোস্টে জানবো চলমান এবং আপ-কামিং ট্রেন্ডস্ সম্পর্কে।
- আরো পড়ুন: ১২ এফিলিয়েট মার্কেটিং ফ্যাক্টস
- আরো পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি – কোথায় করবেন এবং কিভাবে করে
- আরো পড়ুন: ফেসবুক ব্যবহারে মিলবে ৫০ হাজার ডলার
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ২৫ এফিলিয়েট মার্কেটিং ট্রেন্ডস সম্পর্কে:
১. উপরে উঠে যাওয়া এফিলিয়েট মার্কেটারদের প্রায় সকলেই পূরোদমে (full-funnel) এফিলিয়েট স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করে থাকেন।
২. আমাজন, ই-বেসহ বিভিন্ন এফিলিয়েট নেটওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে দেখা যাচ্ছে যে, ফ্যাশন ক্যাটেগরি থেকেই এফিলিয়েট সেলস্ সবচেয়ে বেশি।
৩. এফিলিয়েট কুপন কাস্টোমারকে পণ্য কেনায় প্ররোচিত করে দারুণভাবে।
৪. থার্ড পার্টি কুকিজ এফিলিয়েটে দারুণ প্রভাব ফেলছে।
৫. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ব্র্যান্ড অ্যাফিনিটি (Brand affinity) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
৬. সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন এফিলিয়েট আর্নিং এর ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখছে।
৭. সফটওয়্যার এফিলিয়েট প্রোগ্রাম অধিক লাভজনক।
৮. বেশিরভাগ বিক্রেতারাই পণ্য বিক্রির জন্যে মার্কেট ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কাজ করে থাকে।
৯. এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ ট্রেন্ডস
১০. ইনফ্লুয়েন্সারদের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে এবং সেক্ষেত্রে এফিলিয়েটের একটা বড় অংশ চলে যাবে ইনফ্লুয়েন্সারদের হাতে।
১১. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এফিলিয়েটের ভবিষ্যৎ মার্কেটে অনেক বড় অবদান রাখবে, এমনকি গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।
১২. ই-কমার্সের পাশাপাশি ব্লগ ওয়েবসাইটও এফিলিয়েটে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নেবে।
১৩. পার্সোনালাইজড্ কন্টেন্ট বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে এফিলিয়েট মার্কেটিং ইন্ড্রাস্ট্রিতে।
১৪. সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি আরো ভিন্ন ধরণের কিছু মিডিয়ার আবির্ভাব হবে।
১৫. করোনার বা কভিডের মতো আরো কিছু মহামারি যদি পৃথিবীতে আগমণ করে, তবে সেটা এফিলিয়েটের উপর দারুণ প্রভাব ফেলবে।
- আরো পড়ুন: ৬ টি ই-কমার্স বিজনেস মডেল ও ৪ টি মার্কেট সিস্টেম
- আরো পড়ুন: ই-কমার্সের জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ
- আরো পড়ুন: গ্রামে থেকেও করতে পারবেন ১২ টি লাভজনক ব্যবসা
১৬. এফিলিয়েট মার্কেট যেমন আরো অনেক বড় হবে, তেমনই এর কমিশন রেট কমে যাবে।
১৭. গুগল অ্যাডসেন্সের মতো অ্যাড নেটওয়ার্কগুলোর অবস্থানকে কোনঠাসা করে দেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
১৮. বিজনেস গ্রো করার জন্যে সিঙ্গেল চ্যানেল ঝিমিয়ে যাবে, সুতরাং মাল্টি চ্যানেলের ধারস্থ হতে হবে।
১৯. মার্কেটিং পলিসির চেয়ে ক্রেতাদের ট্রাস্টই বেশি ভূমিকা রাখবে এফিলিয়েট পণ্য বিক্রিতে।
২০. Zoom এর মতো প্লাটফর্মগুলো এফিলিয়েটে ঢুকে পড়বে এবং বিরাট প্রভাব ফেলবে।
২১. বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো আগের চেয়ে আরো বেশি ডাটা-ড্রাইভেন হবে।
২২. কোম্পানীগুলো পণ্য বিক্রির জন্যে অ্যাডভার্টাইজিং এর চেয়ে এফিলিয়েটের দিকে বেশি মনোযোগী হবে।
২৩. লয়ালিটি মার্কেটিং ও এফিলিয়েট মার্কেটিং একত্রিত হয়ে যাবে।
২৪. সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লাইভ শপিং এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকবে।
২৫. এফিলিয়েটে ক্রিপ্টো কারেন্সির জনপ্রিয়তা আরো অনেক বেড়ে যাবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।