স্টাফ রিপোর্টার :: আসন্ন লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি।
আজ (রোববার ২২ মে) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে পড়ায় এবং এই নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা ও প্রতিটি নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে আগামীতে লক্ষীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যর্থতায় সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। টিকা প্রাপ্তি সংক্রান্ত বিষয়টির সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে।
ফখরুল আরো বলেন, কোভিড-১৯ এর টিকা সংগ্রহে সরকার শুরু হতেই দুর্নীতি, অযোগ্যতার কারণে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে চুক্তিকৃত টিকা না পাওয়ায় এবং অন্যান্য উৎসগুলোর সাথে চুক্তি না করায় টিকা প্রাপ্তি একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জনগণের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা প্রাপ্তিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিলম্ব ও অযোগ্যতার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কোভিড-১৯ আক্রমণের শুরু থেকেই বিকল্প উৎস সন্ধান এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলাম। ভারতের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ভয়াবহ ভাবে খারাপ হওয়া এবং ব্লাক ফাংগাস রোগের মহামারী আকার ধারণ করায় জনগণের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এই বিষয় গুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং টিকা প্রাপ্তির রোডম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, খুন, গুম ও সাগর-রুনিসহ প্রায় ৪২ জন সাংবাদিক হত্যা, এই সরকারের মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ফ্যাসিষ্ট চরিত্র উন্মোচিত করেছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেই এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। সরকারের তথ্যমন্ত্রী গোয়েবলসীয় কায়দায় আবারও মিথ্যাচার করছে এবং চিরাচরিতভাবে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কাহিনী প্রচার ও হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩ এর প্রয়োগ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের মত নিবর্তন মূলক আইন প্রণয়ন মুক্ত সাংবাদিকতাকে ধ্বংস করছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সংকুচিত করেছে। অবিলম্বে সকল প্রকার কালো আইন বাতিলের দাবী জানাচ্ছি এবং আসাদ ও রুহুল আমিন গাজীসহ সকল আটক সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য ফখরুল বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে সকল বিভক্তি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানাচ্ছি।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলেও এখানে ক্লিক করুন।