অন্তঃসত্ত্বা নারীর ত্বকের সমস্যায়

জেনে নিন অন্তঃসত্ত্বা নারীর ত্বকের সমস্যায় কী করণীয়। আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নারীদের ত্বকে ঘটে নানা পরিবর্তন। যেমন ত্বকের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ পড়তে পারে, বিশেষ করে মুখে ও চিবুকে, যাকে বলে মেছতা বা মেলাসমা। পেট ভারী হওয়ার কারণে পেটে সাদা ফাটা দাগ পড়তে শুরু করে।



কারো কারো প্রচুর ব্রণ ওঠে, কারো ত্বক কালচে দেখায়। বিশেষ করে ওজন বেশি বেড়ে গেলে বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে বগল ও ঘাড় কালো হয়ে যায়, যাকে বলে অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকানস। ওজন বৃদ্ধির কারণে পায়ে ভ্যারিকোস ভেইন দেখা দিতে পারে, এতে ত্বকের নিচে নীলচে শিরা দৃশ্যমান হয়।

এর সবই হয় নানা ধরনের হরমোনের প্রভাবে। আবার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ত্বক বা চুলের যত্নেও সতর্কতা দরকার। অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন যে এ সময় সব ধরনের প্রসাধনী বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা কতটা নিরাপদ।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অন্তঃসত্ত্বা নারীর ত্বকের সমস্যায় কী করণীয়

১. বাইরে বা রোদে বের হওয়ার সময় সানব্লক লাগানো উচিত। এতে মেছতা বা মুখে কালো দাগ পড়ার প্রবণতা কমবে। কেমিক্যাল বেসড না হয়ে মিনারেল বেসড সানব্লক ব্যবহার করা ভালো।

২. এ সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে বেশি। তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন সব সময়। প্রচুর পানি ও তাজা ফলমূল খাবেন।

৩. ত্বকে বেশি স্ক্রাব বা কড়া ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক আরো রুক্ষ হবে। মৃদু সাবান ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারযুক্ত হলে ভালো।

৪. এ সময় প্রচুর পানি পান করবেন। ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখবেন। নিয়মিত গোসল করবেন।

৫. অনেক নারীর এ সময় প্রচুর ব্রণ ওঠে। ব্রণের চিকিৎসায় অবশ্যই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেবেন। কারণ, গর্ভাবস্থায় ব্রণের জন্য ট্রিটিনয়েন ব্যবহার নিষেধ, এটি গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করে। কেউ আগে থেকে নিয়ে থাকলে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য হাইড্রোকুইনোন, স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রেও। কেউ পূর্বে থেকে ব্যবহার করে থাকলে সন্তান নেয়ার পূর্বেই পরামর্শ নিন।

৬. গর্ভাবস্থায় সাধারণত চুল পড়ে না, ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে বরং চুল ঘন হয়। তবে প্রসবের পর অনেকের প্রচুর চুল পড়ে। পুরো গর্ভকালে ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শে ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও আয়রন ইত্যাদি সেবন করুন।



৭. গর্ভকালীন পেটের দাগ কমানোর জন্য কোনও ধরনের ম্যাসাজ বা মলম তেমন কার্যকর নয়। ওজন যাতে না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পেটের ত্বক আর্দ্র রাখবেন। এ জন্য সাধারণ ময়েশ্চারাইজার যেমন, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, কোকো বাটার ইত্যাদিই যথেষ্ট। পেটের কিছু ব্যায়াম সুফল আনে।

৮. পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম দরকার। নয়তো চোখের নিচে কালি পড়তে পারে।

৯. ত্বক বা চুলের জন্য যেকোনো ওষুধ সেবন করা বা ব্যবহার করার আগে গর্ভকালে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেবেন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয় কি? পেটের গ্যাস দূর করার উপায়!

পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয় কি? পেটের গ্যাস দূর করার উপায়!

আসসালামুয়ালাইকুম অনেক রোগীই আমাদের কাছে আসেন পেটের সমস্যা নিয়ে পেট ফেঁপে থাকে ফুলে থাকে পেটে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *