অমুসলিমের দোয়া কি আল্লাহ কবুল করেন?

জেনে নিন অমুসলিমের দোয়া কি আল্লাহ কবুল করেন? আসুন এ বিষয়ে কোরআনে কি বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেই। যাদের দোয়া সব সময় কবুল করা হয়- তাদের ‘মুসতাজাবুদ দাওয়াহ’ বলা হয়। দোয়া কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ মর্যাদা। এছাড়াও হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, অনেক ব্যক্তির দোয়াই আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। যারা নির্যাতিত, মুসাফির, রোজাদার, অসুস্থ এবং বাবা-মা। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কোনও০ অমুসলিমের দোয়া কি আল্লাহ কবুল করেন?



হ্যাঁ, অমুসলিমের দোয়াও মহান আল্লাহ কবুল করেন। কারণ মহান আল্লাহ কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন না। কারো প্রতি জুলুম করেন না। যাদের দোয়া বা বদদোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন;

তাদের ব্যাপারে হাদিসের দিকনির্দেশনায় সুস্পষ্টভাবে ‘মুসলিম-অমুসলিম’ বিষয়টি উল্লেখ নেই। দোয়া কবুলের ব্যাপারে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ঘোষণা করেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘৩ প্রকারের দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়; তাতে কোনো রকম সন্দেহ নেই। তাহলো-

১. নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া;
২. মুসাফিরের দোয়া এবং
৩. সন্তানের প্রতি বাবার বদ-দোয়া। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

এ হাদিসে মুসলিম-অমুসলিম উল্লেখ নেই। যদি কেউ অমুসলিমের প্রতি অন্যায়ভাবে জুলুম করে, অমুসলিম মুসাফিরের উপর জুলুম করে কিংবা সন্তান তার অমুসলিম বাবা-মাকে কষ্ট দেয় তবে অবশ্যই এসব অমুসলিমের দোয়াও আল্লাহ কবুল করবেন।

মজলুম ব্যক্তির দোয়া আল্লাহর কাছে সব সময় গৃহীত হয়ে থাকে। চাই সে অত্যাচারিত ব্যক্তি অমুসলিম বা কাফের হোক; তবুও আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে থাকেন। কেননা আল্লাহ তার জন্য তথা সবার জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করা পছন্দ করেন।



কোনও ব্যক্তি অমুসলিম বলে তার প্রতি জুলুম-অত্যাজার করা বৈধ; এমনটি ভাবার কোনও সুযোগ নেই। বরং অমুসলিমের অধিকারের দিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন অমুসলিম ব্যক্তি জুলুমের স্বীকার না হয়। কোনও অমুসলিম যদি জুলুমের স্বীকার হয় আর কোনও মুসলিমের ব্যাপারে বদদোয়া দেয় কিংবা মনে কষ্ট নেয় তবে মহান আল্লাহ ওই অমুসলিম ব্যক্তির দোয়াও কবুল করে নেবেন।

সুতরাং মুসলিম-অমুসলিম সবার সাবধান হওয়া জরুরি। কারো প্রতি অন্যায়ভাবে জুলুম না করার ব্যাপারে সতর্ক থাকাও জরুরি। আল্লাহ তাআলা সবাইকে হাদিসের দিকনির্দেশনার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার তাওফিক দান করুন। সবার সাথে সুন্দর ও দায়িত্বশীল উত্তম আচরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম

ফজরের জামাত চলা অবস্থায় সুন্নত পড়া যাবে?

জেনে নিন ফজরের জামাত চলা অবস্থায় সুন্নত পড়া যাবে? আসুন এ বিষয়ে কোরআনে কি বলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *