ই-জিপিতে দরপত্র ৫ লাখ ছাড়াল
করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে আহ্বানকৃত দরপত্রের মোট সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
রোববার (১ আগস্ট) এই সিস্টেমে আহ্বানকৃত দরপত্রের মোটসংখ্যা দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩৮ টি। ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সঙ্কটময় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও সচল ও স্বাভাবিক আছে ই-জিপি। এতে ক্রয়কারী ও দরদপত্রদাতাদের কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা ই-জিপি হেল্প ডেস্ক চালু আছে। ফলে ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতাদের অংশগ্রহণে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বানে নতুন মাইলফলকে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২২ জুলাই ই-জিপি সিস্টেমে দরপত্র আহ্বানের সংখ্যা ৪ লাখের মাইলফলক স্পর্শ করে। এছাড়া ওইদিন ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের মোট মূল্য দাঁড়ায় চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।
সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-জিপি উদ্বোধন করেন। ওই বছরই ৪ টি বড় ক্রয়কারী সংস্থায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন টেন্ডারিং চালু হয়। পরীক্ষামূলক অনলাইন টেন্ডারিংয়ে সফলতা অর্জনের পর ২০১২ সাল থেকে সরকারি বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থা সিপিটিইউর উদ্ভাবিত ই-জিপি বাস্তবায়ন শুরু করে ।
১ আগস্ট ২০২১ তারিখ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৬৫ টি সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে ১ হাজার ৩৬২ টি ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। আর ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা ৮৮ হাজার ২৯৪।
আরো পড়ুন: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আমল
ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতা উভয় পক্ষই তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক এই সেবার সুফল পাচ্ছে। এর মাধ্যমে ভোগান্তি কমে দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হওয়ার পাশাপাশি সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। সরকারি ক্রয় ডিজিটাইজিং এর ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে আসছে বিশ্বব্যাংক।
দেশের অর্থনীতির জন্য সরকারি ক্রয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের প্রায় ৪৫ শতাংশ অর্থ সরকারি ক্রয়ে ব্যয় হয়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।