জেনে নিন এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু পরিসংখ্যান আপনাকে চমকে দিতে পারে। আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকেন, আর না’ই থাকেন, এটি সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনার জানা থাকা চাই।
আপনি যদি কোনও ব্যবসা করেন আর এফিলিয়েটের মাধ্যমে সেলস্ বাড়াতে চান, তবে এগুলো আপনার কাজে লাগবে। অন্যথা, যদি অন্যদের প্রোডাক্টস্ এফিলিয়েটের মাধ্যমে বিক্রি করতে চান, সেক্ষেত্রে এই তথ্যগুলো আপনাকে মার্কেট বুঝতে সাহায্য করবে।
গ্লোবাল ওয়ার্ল্ড বিজনেস সেক্টরে এফিলিয়েট মার্কেটিং সাফল্যের চাবিকাঠি, এটা এখন ব্যবসায়ী থেকে বিক্রেতা পর্যন্ত সবাই জানেন। তাই, এই মার্কেটটা দিন দিনই বড় হচ্ছে। অনলাইনে যারা আয় করতে চান, তাদের অনেকেই এখন আগ্রহী হয়ে উঠছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিষয়ে।
কিন্তু, যারা কোনও তথ্য-উপাত্ত ছাড়া এই মার্কেটে নেমে পড়েন, তাদের বেশিরভাগই বিপদে পড়েন। অর্থাৎ, এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে যথেষ্ট্য পরিমাণে নলেজ অর্জণ না করে যারা এখানে আসেন, তাদের অধিকাংশই এখানে সফল হতে পারেন না। তাই, আমার পরামর্শ হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জণ করুন। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে নিচের কিছু প্রপার পরিসংখ্যান আপনার জ্ঞানকে বর্ধিত করবে, আশা করি।
- আরো পড়ুন: ২৫ এফিলিয়েট মার্কেটিং ট্রেন্ডস
- আরো পড়ুন: ১২ এফিলিয়েট মার্কেটিং ফ্যাক্টস
- আরো পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি – কোথায় করবেন এবং কিভাবে করে
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান সম্পর্কে:
১. বিশ্ব বাজারে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পেছনে কোম্পানীদের খরচের বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ।
২. গ্লোবাল ই-কমার্স সেলস্ এর ১৬ শতাংশ আসে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে।
৩. বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশ কোম্পানীর পণ্য বিক্রয়ের জন্যে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে।
৪. এক্সিস্টিং কাস্টোমার ধরে রাখতে ৭৯ শতাংশ ব্র্যান্ড এফিলিয়েট কুপন ছেড়ে থাকে।
৫. বিগত ৫ বছরে এফিলিয়েট মার্কেটিং ৭০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
৬. বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ এর বেশি তাদের বাজেটের ১০ শতাংশ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বরাদ্দ করে থাকেন।
৭. ডিজিটাল মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রির মূল রেভিনিউ এর ১৫ শতাংশ আসে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে।
৮. এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে মার্কেট হচ্ছে যুক্তরাজ্য (United States of America)।
৯. বিশ্ব এফিলিয়েট ইন্ড্রাস্ট্রিতে অ্যামেরিকা সবচেয়ে বড় প্লেয়ার।
১০. যুক্তরাজ্যের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বাজার ২০২২ সালে ৮ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠে যাবে।
১১. এফিলিয়েট মার্কেটারদের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ তাদের কাস্টোমার পেয়ে থাকে ব্লগিং এর মাধ্যমে।
১২. ৯৪ শতাংশ পাবলিশার মাল্টিপল এফিলিয়েট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকে।
১৩. ২০০৬ সালে ইউ.কে. এর (United Kingdom) এফিলিয়েট নেটওয়ার্কের বাজার ছিল ২.৬ বিলিয়ন ডলার যা ২০২২ সালে কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবণা আছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
১৪.বড় বড় ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে তাদের টোটাল ইনকামের ৫ থেকে ২৫ শতাংশ জেনারেট হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
১৫. বিখ্যাত কোম্পানীদের প্রোডাক্ট সেলস্-এ যারা জয়েন করে তাদের ৮৩ শতাংশ আসে Join Affiliate Network বাটনে ক্লিক করে।
- আরো পড়ুন: ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে ৪টি ব্যবসার আইডিয়া
- আরো পড়ুন: সল্প বাজেটে যে ১০টি ব্যবসায় মার্কেটিং করবেন
- আরো পড়ুন: অনলাইন ৬ ধরণের ব্যবসার আইডিয়া
১৬. ক্রেতাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ এফিলিয়েট থেকে প্রাপ্ত ডিজিটাল কুপন ব্যবহার করে কেনা-কাটা করে থাকে।
১৭. পাবলিশারদের কাছে দিন দিনই গুগল অ্যাডসেন্সের চেয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
১৮. পাবলিশারদের মধ্যে যাদের ওয়েবসাইট ৫০০ ইউনিক ভিজিটর পাচ্ছে, তাদের ৩৪ শতাংশ এফিলিয়েট থেকে আয় করতে পারছে।
১৯. খুচরা বিক্রেতাদের ৭.৫ শতাংশ ইতিমধ্যেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আওতায় এসে পড়েছে।
২০. একজন ক্রেতা অনলাইনে কিছু কেনার প্রায় সাথে সাথে পাবলিশারের অ্যাকাউন্টে এফিলিয়েট কমিশন জমা হয়ে যায়।
২১. এফিলিয়েট মার্কেটারদের বার্ষিক বেতন দাঁড়াচ্ছে গড়ে ৫১ হাজার ৬৩৯ ডলার।
২২. অধিকাংশ এফিলিয়েট মার্কেটাররা বছরে প্রায় ২০ হাজার ডলার আয় করে থাকেন।
২৩. বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মনে করে যে এফিলিয়েট পণ্য বিক্রির জন্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি ইফেক্টিভ।
২৪. পণ্য কেনার আগে ৭৪ শতাংশ লোক নন-রিটেইল সাইটগুলো ভিজিট করে থাকেন।
২৫. এফিলিয়েট ট্রাফিকের ৫০ শতাংশ আসে মোবাইল ডিভাইস থেকে।
২৬. ShareASale গ্লোবাল এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ৫৫.৬ শতাংশ ধরে রেখেছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।