ওমিক্রন মোকাবিলায় যা যা খাওয়া জরুরি

জেনে নিন ওমিক্রন মোকাবিলায় যা যা খাওয়া জরুরি । আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ছে। এবার করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন চোখ রাঙাচ্ছে। তাই এখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দরকার পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। এর পাশাপাশি এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এ সময় পরিহার করতে হবে। ফলে শরীর সুস্থ থাকবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।



আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডায়েটের দিকে অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। অন্যদিকে যারা এখনো করোনায় আক্রান্ত হননি, তাদেরও স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করুন।

বিশেষজ্ঞরা এ সময় বেশি করে তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেলের জোগানও দিতে হবে।

শিশুদেরকেও এ সময় সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে। জেনে নিন করোনা চলাকালীন আপনার ডায়েটে কী কী খাবার রাখবেন আর কোনগুলো পরিহার করবেন।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ওমিক্রন মোকাবিলায় যা যা খাওয়া জরুরি :-

১. বেশি করে ফল ও সবজি খেতে হবে। মাংস, মাছ, ডিম ও দুধের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় তাজা ফল ও শাকসবজি রাখুন। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে লেবু, গম, ভুট্টা, চাল, মসুর ডাল ও মটরশুটি খান।

ভুট্টা, ওটস, গম ও বাদামি চালের মতো শস্য রাখুন। এগুলোর ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখবে। সকালের খাবারে তাজা ও শুকনো ফল রাখুন।

২. দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাবেন না। শুধু লবণ নয় সস ও মসলাও কম ব্যবহার করুন। সর্বদা কম সোডিয়ামযুক্ত খাবার খান। ঠিক লবণ ও চিনি মেশানো প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণ কমিয়ে আনুন।

৩. তেল ও চর্বি কম ব্যবহার করুন। মাখন ও ঘি’র পরিবর্তে অলিভ, সয়া, সূর্যমুখী বা কর্ন অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করুন।

একই সাথে কম চর্বিযুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ব্যবহার করুন। ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত রান্না ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। রান্না করার সময় খাবার ভাজার পরিবর্তে বাষ্পে বা সেদ্ধ করে রান্না করার চেষ্টা করুন।



৪. চিনি খাওয়াও পরিহার করতে হবে। প্যাকেটজাত পানীয়, ফলের রস, স্বাদযুক্ত পানীয়, চিনিযুক্ত চা ও কফি গ্রহণ কমিয়ে আনুন। কুকি, কেক ও চকলেটের মতো মিষ্টি স্ন্যাকসের পরিবর্তে তাজা ফল বেছে নিন। শিশুদেরকেও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেবেন না।

৫. পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই। পানি পিপাসা না লাগলেও দৈনিক ২ থেকে ৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করুন। খুব বেশি মিষ্টি ফলের জুস খাবেন না।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয় কি? পেটের গ্যাস দূর করার উপায়!

পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয় কি? পেটের গ্যাস দূর করার উপায়!

আসসালামুয়ালাইকুম অনেক রোগীই আমাদের কাছে আসেন পেটের সমস্যা নিয়ে পেট ফেঁপে থাকে ফুলে থাকে পেটে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *