আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারতের হরিদ্বার শহরে কুম্ভমেলা উৎসবে অংশ নেয়া হাজার হাজার পূণ্যার্থীরা কোভিড-১৯ তে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে শীর্ষ নয় পূজারিও আছে। ২ মাস ধরে চলা এই উৎসবের সবচেয়ে শুভ দিনে গত মঙ্গলবার গঙ্গা নদীতে স্নান করেছে ত্রিশ লাখের বেশি পূণ্যার্থী। গত বুধবারও লাখ লাখ মানুষও এই স্নান চালিয়ে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিবিসি।
গত মঙ্গলবার ভারতে রেকর্ড সংখ্যক কোভিড-১৯ এর রোগী শনাক্ত হয়। গত বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে এদিন মোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন কোভিড-১৯ এর রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ।
কোভিড-১৯ এমন অবস্থায় কুম্ভ মেলার মতো জনসমাগমের অনুমোদন দেওয়ার সরকারের সমালোচনা করছেন অনেকেই। কর্মকর্তারা জানান, গত বুধবার পবিত্র নদী গঙ্গায় একসঙ্গে স্নান করেছেন প্রায় নয় লাখ মানুষ। গঙ্গাকে পবিত্র নদী মনে করা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পূণ্য তিথিতে এতে স্নান করলে সব পাপ পোচন হবে আর মোক্ষ লাভ হবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গঙ্গা নদীর তীরে সমবেত হওয়া লাখ লাখ মানুষের ওপর কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কুম্ভ মেলার কোভিড-১৯ পরীক্ষা কেন্দ্রে মঙ্গলবার ২০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১০ জনের পজিটিভ ফলাফল এসেছে। এর আগে সোমবার ১৮৪ পূণ্যার্থীর কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের হরিদ্বার শহরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কুম্ভ মেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. অর্জুন সেনগার জানিয়েছেন মেলার নয় জন শীর্ষ ধর্মীয় নেতাও কোভিড-১৯ তে আক্রান্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার হরিদ্বার শহরে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৪ জন। এনিয়ে শহরটিতে সক্রিয় রোগীর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮১২ জনে। সোমবার ও মঙ্গলবারে শহরটিতে এক হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বারবারই কুম্ভমেলা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সরকার বরাবরই নিরাপত্তা পদক্ষেপ অনুসরণের কথা বলে এসেছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরাত সিং রাওয়াত গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করছি আর সুস্থতার হারও ভালো। যেকোনও পরিস্থিতি সামলানো জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মা গঙ্গার আর্শীবাদ প্রবাহিত হচ্ছে। সেই কারণে কোভিড-১৯ থাকবে না।’