বাচ্চার মা হওয়া একটি আনন্দের অনুভূতি। যদি একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার কথা ভাবেন, তবে তাকে প্রথমে মাসিক চক্রের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ ওভুলেশন হল গর্ভধারণ সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার উত্তর। একজন মহিলার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণকে ওভুলেশন বলে। ওভুলেশনের প্রক্রিয়া প্রতি মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে থাকে। ডাক্তার বিশাল মাকওয়ানা জানিয়েছেন যে, এই সময়ের মধ্যে মহিলার শরীর থেকে নির্গত ডিমগুলি পুরুষের বীর্যের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। আর তাই এই সময়ে সহবাস করলে সহজেই গর্ভধারণ করা সম্ভব। নারী যদি মা হতে না চান, তাহলে এই সময়ে সহবাস না করে গর্ভধারণ এড়িয়ে যাওয়া যায়।
গর্ভবতী হওয়ার জন্য, আপনার মাসের কোন সময় ওভুলেশন হচ্ছে তা জানতে হবে। কারণ এই সময়টি বিভিন্ন মহিলাদের জন্য আলাদা। সাধারণত ২৮ দিনের মাসিক চক্রে ১৪-১৬ দিনের কাছাকাছি ঘটে এটি। কিন্তু সব নারীর মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয় না। সাধারণত এই মাসিক চক্র ২৬-৩২ দিনের হয়ে থাকে। আর ওভুলেশন হয় একজন নারীর পিরিয়ডস শেষ হওয়ার ১০ থেকে ১৯ তম দিনে। পরবর্তী মাসিকের প্রায় ১২ থেকে ১৬ দিন আগে।
নারীরা নিজেদের ও ভুলেশনের লক্ষণগুলি বুঝতে পারবেন নানা লক্ষণ থেকে। এই সময়ে হওয়া হোয়াইট ডিসচার্জ বরাবরের থেকে আলাদা হয়। যোনি থেকে যে তরল নিষ্কৃত হয় তা ঘন হয়ে যায়। এই সময়ে, মহিলাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। কিছু মহিলার ওভুলেশনের সময় তলপেটে হালকা ব্যথা হয় যা কয়েক মিনিট বা এমনকী কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
চাইলে মা হতে চাইছেন এমন নারী ওভুলেশন কিটের সাহায্য নিতে পারেন। এটি ওভুলেশনের আগে প্রস্রাবে লুটিনাইজিং হরমোনের বৃদ্ধি সনাক্ত করা যেতে পারে। অনেক মহিলার স্তন এই সময় বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথাও অনুভূত হয়।
একইসঙ্গে মাসের এই সময় শারীরিক সম্পর্কের ইচ্ছেও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ডিম্বাশয় থেকে বের হওয়ার পর ডিম শরীরে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা থাকে। তাই পিরিয়ডস শেষ হওয়ার ১০ নম্বর দিন থেকে একদিন ছাড়া ছাড়া সহবাসের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা ২০তম দিন পর্যন্ত।