গ্যাস্ট্রিক চিরতরে দূর করার উপায় ওষুধ ছাড়াই

আমাদের কর্ম জীবনে বিভিন্ন পেশেন্ট এর সাথে কথা বলে আমরা জানতে পারি তারা এসে বলে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি তার একটি গ্যাসের ট্যাবলেট না খায় তাহলে তাদের সারাটা দিন মাটি হয়ে যায় সারাদিন তাদের পেট ভরা ভরা থাকে খিদে পায় না শরীরে অস্বস্তি বোধ হয় পেটে ব্যথা হয় গা বমি বমি ভাব হয় রাত্রি বেলা ঘুম ভালো হয় না কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু একটি ট্যাবলেট যদি সে খেয়ে নেই তাহলে তার সারাটা দিন খুব ভালো কাটে আসলে ব্যাপারটা কি জানেন সময়ের সাথে সাথে আমরা আমাদের নিজেদের থেকে আমরা ওষুধের উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আমাদের শরীরে নিত্যনৈমিত্তিক যে কোনো ছোটখাটো সমস্যা হোক না কেন আমরা ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে এনে আমরা সেই অশুদ্ধি খেয়ে ফেলে কিন্তু আমাদের শরীরের যে সমস্ত ছোট খাটো সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেই সমস্যাগুলো জন্য যদি আমরা হোম রেমিডিস কিছু এপ্লাই করতে পারি তাহলে আমরা শুধু ওষুধের সাইড ইফেক্ট থেকে বাঁচব এমনটা নয় তার সাথে সাথে আমাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কিন্তু সঠিক ।

বেড়ে যায় নমস্কার আমি কৃষ্ণার্জুন মুখার্জি হেলথ টিপস জেনে আপনাদেরকে আরও একবার স্বাগত আজ আমরা আলোচনা করে নেব গ্যাসট্রাইটিস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কিছু হোম রেমেডি স্টে হোম রেমেডি স্কুলে যদি আপনি এপ্লাই করতে পারেন তাহলে সারা জীবনের জন্য সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ার সমস্যা থেকে আপনি চির মুক্তি পেতে পারেন,  আশা করি আপনারা বিষয়টি খুব সহজভাবে বুঝতে পারবেন বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলার সময় আমরা জানতে পারি ম্যাক্সিমাম মানুষের মনের ধারণা দীর্ঘদিন ধরে তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে বা গ্যাসট্রাইটিস এর প্রবলেম রয়েছে মানেই তার পেটে আলসার হয়েছে কিন্তু ব্যাপারটা এমনটা নয় সমীক্ষায় দেখা গেছে মাত্র শতকরা ১০ থেকে ১২  পার্সেন্ট মানুষেরই আলসারের সমস্যা থাকে আর অষ্ট আশি থেকে নব্বই পার্সেন্ট মানুষের যে সমস্ত সমস্যা থাকে সেটি হলো ফাংশনের ডিস্পেপসিয়া যদি আপনাদের দরকার হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ।

এখন আসা যাক এ গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম বা গ্যাসট্রাইটিস এ সমস্যার হোমিও মেডিসিন গ্যাস্ট্রিক এর প্রব্লেম বা গ্যাস্টাইটিস এ প্রবলেম এর জন্য যে দুটি কারণ প্রধান দুটি কারণ আমাদের ফুড হ্যাবিট এবং আমাদের লাইফস্টাইল অর্থাৎ আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং আমাদের জীবন শৈলী কে যদি আমরা ঠিক করে নিতে পারি তাহলে এ গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসট্রাইটিস এর প্রবলেম এর থেকে আমরা অনেকটা দূরে থাকতে পারবো আমাদের প্রথমে জেনে নেওয়া উচিত যে কোন কোন খাবার গুলি আমরা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেবো দেখুন আমরা সেই সমস্ত খাবারগুলোকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেবো যে খাবারগুলো খেলে আমাদের শরীরে এসিড প্রোডাকশন বৃদ্ধি পায় যেমন চা-কফি যেকোনো বেশি তেল মশলা জাতীয় খাবার বেশি ভাজাপোড়া যেকোনো প্রসেসিং ফুল যেমন ব্রেড পাস্তা নুডুলস যেকোনো ধরনের আচার জ্যাম কেচাপ এই সমস্ত জিনিস গুলি আমাদেরকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে তার সাথে অনেক মানুষের সাইট্রাস জাতীয় ফুডস।

সাহিত্যে জাতীয় ফোর্স বলতে যে সমস্ত ফুটছে সাইট্রিক এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে যেমন পাতি লেবু কমলা লেবু মুসুম্বি এই সমস্ত জিনিস গুলো যদি সহ্য না হয় তাহলে কিন্তু এগুলি আমাদেরকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে আবার অনেক মানুষের দেখতে পাওয়া যায় দুধ এবং দুগ্ধজাত ইও জিনিস খেলে তার শরীরে এসিড প্রোডাকশন বৃদ্ধি পায় বা তার হজম হয়না সেই সমস্ত মানুষ দিকে কিন্তু দুধ এবং দুগ্ধজাত ইও জিনিস থেকে এড়িয়ে চলতে হবে এখন আমরা জেনে নেবো যে কোন খাবার গুলিকে আমরা খাদ্য তালিকায় যুক্ত করব আমরা সেই সমস্ত খাবারগুলি খাদ্য তালিকায় যুক্ত করব যে খাবারগুলো খেলে আমাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে বুট ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বুট ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ যদি আমাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে বৃদ্ধি পায় তাহলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায় এবং আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তার সাথে সাথে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমতে থাকে আমরা প্রোবায়োটিক ফুড যদি আমাদের খাদ্য তালিকায় শামিল করতে পারি তাহলে এই প্রবায়টিক ফুডস আমাদের যখন গ্যাস ।

সিস্টেমের মধ্যে যায় সেখানে প্রচুর পরিমাণে গুড ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায় এবং তার সাথে সাথে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যেটি আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি করে সে ব্যাকটেরিয়ার রাজকোটে যায় তার ফলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে আমরা অনেক খানি মুক্তি পায় গাজর-শসা গ্রীন বেঞ্চ লাল ক্যাপসিকাম এর সাথে কিছু প্রোবায়োটিক হল রয়েছে যেমন কলা তরমুজ আত্মা এই সমস্ত খাবারগুলোকে আমাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই বিশেষভাবে স্বামীর করব আরও একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যেটি তাদের খাদ্য তালিকা তে বিশেষভাবে ফাইবার যুক্ত খাবার বাড়াতে হবে এই ফাইবার যুক্ত খাবারের মধ্যে তারা বেশি করে সালাদ খাবেন বেশি পরিমাণ শাকসবজি খাবেন এবং তার সাথে হোল গৃন্স কেউ তাদেরকে খাদ্যতালিকায় শামিল করতে হবে গবেষণায় দেখা গেছে আমি এতক্ষণ যে সমস্ত খাবারগুলি বললাম তার সাথে আরও কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন যেমন গ্রিন টি যষ্টি মধু আদা ।

ফুল মুভি মধু কাঁচা হলুদ ডাবের জল এই সমস্ত জিনিস গুলো কিন্তু আপনারে গ্যাস্টিকের প্রবলেম এর জন্য অনেক বেশি উপকারী কিন্তু মনে রাখবেন এই সমস্ত জিনিস গুলো কে আপনি আপনার মাল ভাবে আপনার খাদ্য তালিকায় ইনক্লুড করবেন না অর্থাৎ এগুলো শরীরের পক্ষে উপকারী বলে এগুলি আপনি বেশি বেশি পরিমাণ খাবেন না কারণ প্রত্যেকটা ভালো জিনিসের একটা লিমিট থাকে সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার দু’ঘণ্টার মধ্যে একটি হেলদি ব্রেকফাস্ট করার আপনি অভ্যাস করে ফেলুন সারা দিনে তিনবার বেশি পরিমাণ খাবার থেকে সারা দিনে ছয়বার অল্প অল্প পরিমাণ খান তিনবার বেশি পরিমাণ খেলে যেমন আপনার প্রমাণ ওভারফ্লো হয়ে যায় তার সাথে আপনার গ্যাস্ট্রিক প্রেসার ও বাড়তে থাকে কিন্তু সারাদিনে যদি আপনি সবার খান অল্প অল্প করে খান তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক প্রেসার পারবে না এবং সারাদিন আপনার তোমাকে খালি থাকবে না যেমন বেশি পরিমাণ খেলে আপনার গ্যাস চিত্রেশ আরো বাড়তে পারে তার সাথে সাথে আপনি যদি আপনার তোমাকে খালি রাখেন তাহলে কিন্তু আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই আমাদেরকে ।

রাখতে হবে আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাব না এবং আমরা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের তোমাকে খালি রাখবো না এখন আমরা আলোচনা করে নেব আমাদের লাইফস্টাইলে আমাদেরকে কি কি চেন্জ নিয়ে আসতে হবে প্রতিদিন আমরা কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার জল খাব সারা দিনে কমপক্ষে 1 ঘন্টা আমরা ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করব ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করলে আমাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের মোটিলিটি ভালো থাকে যে কোন প্রকারের মেন্টাল স্ট্রেস বা ফিজিক্যাল স্ট্রেস বা যেকোনো ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে আমাদেরকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে তার কারণ এই সমস্ত জিনিস আমাদের পেটে এসিড প্রোডাকশন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে দেয় ফলে আমাদের এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায় তার সাথে যারা স্মোকিং করেন যারা অ্যালকোহল নেতাজি কেউ কিন্তু এগুলি সীমিত করে দিতে হবে সারা দিনে অন্তত এক টানা ৬০  ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করে ফেলতে হবে কারণ আমরা যদি সারা দিনে এক টানা ৭  ঘণ্টা ঘুমাই তাহলে আমাদের শরীরে এসিড প্রোডাকশন কম হয় শরীরের বিভিন্ন প্রকারের ব্যথা.

আপনার জন্য যে সমস্ত মানুষদের পেইনকিলার জাতীয় ঔষধ নিত্যসঙ্গী অর্থাৎ যে সমস্ত মানুষরা ডাইক্লোফেনের ইবুপ্রফেন অ্যাসপিরিন বর্তমান গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত খান সেই সমস্ত মানুষদের উদ্দেশ্যে বলছি যে তারা ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে এই সমস্ত ওষুধ গুলির যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন কারণ এই সমস্ত ওষুধগুলো কিন্তু আমাদের শরীরের প্রোডাকশন বৃদ্ধি করে ফলে আমাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে আমি এতক্ষণ যে সমস্ত পদ্ধতিগুলি আপনাদের বললাম সেই পদ্ধতি গুলি যদি আপনার অবলম্বন করতে পারেন বা মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনারা এই গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসট্রাইটিস সমস্যাকে বলে দিতে পারবেন টাটা বাই বাই ।

 

এগুলো দেখুন

কষা পায়খানা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা ! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

কষা পায়খানা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা ! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

ইদানিং দেখা যাচ্ছে ছোট থেকে বড় সকলের কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা নিয়ে চিন্তায় আছেন বা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *