গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি ধরণের কাজ করা হয়? গ্রাফিক ডিজাইন করে কেমন টাকা আয় করা যায়? কিভাবে আয় করা যায়? কত টাকা আয় করা যায়? এমন প্রশ্নগুলো খুবই কমন।
আজকের এই টিউটোরিয়ালে আমি আপনাদেরকে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা কি কি ধরণের কাজ করে।
নতুনরা মনে করেন গ্রাফিক্স ডিজাইন মানেই বিজনেস কার্ড আর ফ্লায়ার ডিজাইন। মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কর্মের ক্ষেত্র ব্যাপক। কোনো ডিজাইনারই একই সঙ্গে সব ক্যাটাগরিতে দক্ষ হয় না।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি ধরণের কাজ করা হয়?
ডিজাইনের কাজকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
১. প্রিন্ট ডিজাইন
প্রিন্ট ডিজাইন অনেক ধরণের হতে পারে, কাগজে প্রিন্ট করা যেকোনো ধরনের ডিজাইন সেইটা লোগো, কর্পোরেট এইডেনটিটি, ফ্লায়ার, ফুড মেনু, পোস্টকার্ড, রেক কার্ড, পোস্তার, ম্যাগাজিন, এডভারটাইজমেন্ট এর পাশাপাশি ডিজিটাল সাইনবোর্ড, টিশার্ট এর প্রিন্ট ডিজাইন, যেকোনো ধরণের ফেব্রিক এর ডিজাইন, আর্ট এন্ড ইলাসট্রেসন, প্যাটার্ন ডিজাইন (প্যাটার্ন এর ব্যাবহার ব্যাপক, সুধু মাত্র ভালো সিমলেস প্যাটার্ন ডিজাইন করে লাক্সারিয়াজ ক্যারিয়ার করা পসিবল), প্রোডাক্ট এন্ড পেকেজিং ডিজাইন, লেভেল ডিজাইন, ইত্যাদি। মূলত প্রিন্ট ডিজাইন এর ক্যাটাগরি অসীম যা লিস্ট আকারে দেয়াটা কষ্টসাধ্য। আপনি যেই কোনো একটাকে টার্গেট করে ভালো ক্যারিয়ার করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সেটা বিজনেস কার্ড ক্যাটাগরি না হওয়াই উত্তম।
- আরো পড়ুন: ১ লাখ টাকা খরচে ব্যাগ তৈরির কারখানায় মাসে ৪০ হাজার আয়
- আরো পড়ুন: ছোট পুঁজিতে বড় ব্যবসা বিক্রি করুন এয়ার টিকেট
- আরো পড়ুন: লোগো ডিজাইন করে মাসে আয় করুন ৫০০০০ টাকা
২. ডিজিটাল মিডিয়াম (অন স্ক্রিন ডিজাইন)
ডিজিটাল মিডিয়াম এর মধ্যে সর্ব প্রথম বলা যাই, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন (স্বাভাবিক ভাবে ওয়েবসাইট এবং মোবাইল কিংবা কম্পিউটার এর সফটওয়্যার এর দৃশ্যমান ডিজাইন বুঝানো হয়), অনলাইন মাধ্যমে পাবলিশ করা বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন বা আইডেন্টিটি ডিজাইন যেমন ফেসবুক বা লিংকডইন এর মত বিজনেস পেজের প্রোফাইল কভার, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমে দেওয়া পোস্ট বা বিজ্ঞাপনী গ্রাফিক, ডিজিটাল বিলবোর্ড, ইবুক, ম্যাগাজিন ইত্যাদি। আপাতত দৃষ্টিতে আপনার কাছে খুব সামান্য মনে হতে পারে যদি আপনি মডার্ন বিজনে পলিচি এন্ড ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একেবারেই ধারণা না ঠাকে। জাস্ট এইটুকু বুজেন যে একতা ফেসবুক এড গ্রাফিক্স ১০০ জন মার্কেটিং অফিসার এর কাজ করতে পারে এবং সেইটার মার্কেট সীমানা বিহীন।
এইগুলাই শেষ না, আর অনেক স্কিল ক্যাটাগরি আছে
যদিও আমি গ্রাফিক ডিজাইনকে ২ ভাগে ভাগ করে ফেলছি আপনাকে সহজে বুঝানোর জন্যে তবে বেশিরভাগ ডিজাইনারই ১/২ টা ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করেই জীবন পার করে দেয়। যেমন একজন লোগো ডিজাইন এক্সপার্ট সুধু লোগো ডিজাইনই করে, তবে অনেকে পাশাপাশি সে কর্পোরেট এইডেনটিটি এবং অন্যান্য প্রমোশনাল ডিজাইন করে থাকেন।
কিন্তু একজন লোগো ডিজাইনার সাধারণত ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করবেন না। তবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন চাইলে সব ক্যাটাগরির ডিজাইনই করতে পারবেন সুধু মাত্র ইউজার ইন্টারফেস, ডিজিটাল ইলাসট্রেসন এবং লোগো ডিজাইন। কারণ এই বিষয়ে তুলনামূলক বেশি দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার প্রয়জন হয়। হয় তাঁর অন্য ক্যাটাগরিতে কাজ।
- আরো পড়ুন: শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও ৬ কারণে হতে পারে এইডস
- আরো পড়ুন: ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
- আরো পড়ুন: দুধের সাথে যে খাবার খাবেন না
আমি কি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পাড়বো?
অনেকে প্রশ্ন করেন আমিতো আর্ট এর স্টুডেন্ট না বা আমি ভালো ড্রইং করতে পারি না আমি কি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবো? উত্তর হচ্ছে পারবেন, একজন ইলাস্ট্রেটর এর আর্ট স্কিল প্রয়োজন হয় গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর না।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।