চাকরিজীবীদের জন্য সেভিংস নিয়ে কিছু টিপস

চাকরিজীবীদের জন্য সেভিংস নিয়ে কিছু টিপস নতুন চাকরিজীবীদের জন্য সেভিংস নিয়ে বিশেষ কিছু টিপস। প্রথম থেকে সঞ্চয় সম্পর্কে সচেতন থাকলেই যে কোনও সময় যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সহজ হবে। বিশেষ করে যারা নতুন কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ সঞ্চয় খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুরুতেই সঞ্চয় নিয়ে প্ল্যানিং করলে ভবিষ্যতে চলার পথটাও সুগম ও সহজ হবে।

চাকরি জীবনে প্রবেশের সাথে সাথে ফিন্যান্সিয়াল জীবনে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। হঠাৎ করে খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু ভবিষ্যৎ জীবনে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য এ সময়ে ক্রয়ক্ষমতার সাথে তাল মিলিয়ে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন না এনে সেভিংসের দিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত।

*কর্মজীবনের শুরুতেই মানি ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিন। আপনার বর্তমান লাইফস্টাইল অনুযায়ী একটা বাজেট তৈরি করুন সবার আগে। সেই তালিকায় আপনার প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি বিষয় যেন থাকে। বিশেষ করে আপনার যাতায়াত খরচের কথা ভুলে যাবেন না।

*চাকিরর প্রথম ৩ মাস আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার প্রয়োজনীয়, অতিপ্রয়োজনীয় খরচ কতটা। সেক্ষেত্রে এই ৩ মাসের পুরো হিসাবটা খাতায় লিখে রাখুন। এ হিসাব বিশ্লেষণ করেই আপনি আপনার বাজেট করে ফেলতে পারবেন। আপনার তৈরি করা বাজেট অনুযায়ী নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলুন আস্তে আস্তে।

*সম্ভব হলে আপনার বেতনকে মোটামুটি ৪ ভাগে ভাগ করে নিন। নিয়মিত খরচের জন্য রাখুন ২ ভাগ, ১ ভাগ রাখুন প্রয়োজনীয় এবং পছন্দের কেনাকাটা জন্য ও আর বাকি ১ ভাগ রাখুন সেভিংসের জন্য।

*প্রথম কয়েক মাস সেভিংস করার পর তা থেকে ইনভেস্ট করার চেষ্টা করুন কিছু ভবিষ্যৎ প্রকল্পে। কোন ধরনের পলিসি আপনার জন্য উপযুক্ত সে ব্যাপারে ভালো করে খোঁজখবর নিন।

*সেভিংসের জন্য রাখা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া খরচ করবেন না। বরং চেষ্টা করুন প্রতি মাসে আপনার স্থায়ী বাজেট থেকে কিছু সঞ্চয় করতে।

*সেলারি অ্যাকাউন্ট সবসময় আলাদা রাখা উচিত। যদি পারিবারিক সূত্রে বা অন্য কোনও ভাবে কোনও অর্থ পেয়ে যান, তবে তা সেলারি অ্যাকাউন্টে রাখবেন না। আলাদা একটা অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে রাখুন।

*আপনার মাসিক কেনাকাটার জন্যে যে বাজেট রেখেছেন তার মধ্যেই বিনোদনের জন্য বাজেট রাখুন। কোনও মাসে কেনাকাটা বেশি হয়ে গেলে বিনোদনের বাজেট কাট করুন।


আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ফেসবুকের বিকল্প!


*প্রমোশন হলে খরচের হাত সেই পরিমাণে বাড়িয়ে ফেলবেন না। বরং বর্ধিত টাকা সেভ করার চেষ্টা করুন। প্রথম জীবনে একটু হিসেবি হলে বাকি জীবনটা অনায়াসে সুখে-শান্তিতে কাটিয়ে দিতে পারবেন। বিপদে পড়লে খুব সহজে তা মোকাবেলা করতে পারবেন।

*ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন কখনই যেন ক্রেডিটের পরিমাণ রিপেমেন্ট ক্যাপাসিটির বাইরে না চলে যায়।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে

আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে? জেনে নিন বিস্তারিত

জেনে নিন আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে? আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *