জেনে নিন জামাতে নামাজ পড়তে যাওয়ার বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে কোরআনে কি বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ফরজ নামাজ জামাতে পড়ার জন্য অপেক্ষা করা, ফরজ নামাজ জামাতে পড়া এবং নামাজের পর মসজিদে অবস্থান করার ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে গিয়ে জামাতের জন্য অপেক্ষা করার এবং জামাতে নামাজ পড়ার পর ওই স্থানে বসে অপেক্ষা করার বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করেছেন। কী সেই বিশেষ ফজিলত?
- আরো পড়ুন: অমুসলিমের দোয়া কি আল্লাহ কবুল করেন?
- আরো পড়ুন: রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও মর্যাদা
- আরো পড়ুন: অশ্লীলতা ও পর্নোগ্রাফি থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
জামাতে নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার প্রতি কদমে কদমে মর্যাদা বৃদ্ধি এবং গুনাহ মাফ হয়। জামাতের জন্য অপেক্ষার সময়টি নামাজে রত থাকার সওয়াব হয় আবার জামাতের পর ওই স্থানে বসে থাকলে ফেরেশতারা তার অনুগ্রহ, ক্ষমা ও তাওবাহ কবুলের জন্য দোয়া করতে থাকেন। হাদিসে পাকে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে। তাহলো-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি মসজিদে জামাতের নামাজ আদায় করলে তা তার বাড়ি বা বাজারে নামাজ আদায় করার চেয়ে ২০ গুণেরও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। কারণ কোনও লোক যখন নামাজের জন্য অজু করে এবং ভালোভাবে অজু করে মসজিদে আসে তখন তাকে নামাজ ছাড়া আর কিছুই মসজিদে আনে না। আর সে নামাজ ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যও পোষণ করে না।
জামাতে নামাজ পড়তে যাওয়ার বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা
১. সুতরাং এ উদ্দেশে সে যখনই (মসজিদের উদ্দেশে) কদম (পদক্ষেপ) বাড়ায় তখন থেকে মসজিদে প্রবেশ না করা পর্যন্ত তার প্রতিটি কদমে কদমে ওই ব্যক্তির মর্যাদা বাড়ানো হয় এবং একটি করে পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
২. এরপর মসজিদে প্রবেশ করার পর যতক্ষণ সে নামাজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ততক্ষণ যেন সে নামাজরতই থাকে।
৩. আর তোমাদের কেউ যখন নামাজ আদায় করার পর নামাজের স্থানেই বসে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত মালায়েকাহ (ফেরেশতাগণ) তার জন্য এ বলে দোয়া করতে থাকে যে-
اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ مَا لَمْ يُؤْذِ فِيهِ مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ
‘হে আল্লাহ! তুমি তার প্রতি অনুগ্রহ দান করো। হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করো। হে আল্লাহ! তুমি তার তওবা কবুল করো।’ এরূপ দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত করতে থাকে যতক্ষণ না সে কাউকে কষ্ট দেয় এবং যতক্ষণ পর্যন্ত অজু নষ্ট না হয়।’ (মুসলিম)
- আরো পড়ুন: ভালোবাসার মানদণ্ড কেমন হবে?
- আরো পড়ুন: হিজাব পরার বিধান কী?
- আরো পড়ুন: ‘আল্লাহু আকবার’ অর্থ কী?
সুবহানাল্লাহ! জামাতে নামাজ পড়ার, জামাতের জন্য অপেক্ষা করার এবং জামাতের পর মসজিদে বসে থাকার কত চমৎকার ফজিলতই না রয়েছে। যা মুমিন মুসলমানের জন্য বিশেষ পাওয়া।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত,জামাতে নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়া। মসজিদে গিয়ে নামাজের অপেক্ষা করা এবং জামাতের পর নামাজের স্থানে বসে তাসবিহ-তাহলিল করা। আর এতেই মিলবে হাদিসের এসব পুরস্কার, ফজিলত ও মর্যাদা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাতে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। জামাতের অপেক্ষায় থাকার তাওফিক দান করুন। জামাতের পর মসজিদে বসে তাসবিহ-তাহলিল করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।