জেনে নিন ঠান্ডায় নাক বন্ধ যা করণীয় । আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। শীতে ছোট-বড় সবাই কমবেশি ঠান্ডার সমস্যায় ভোগেন। এ সময়ের ঠান্ডা আবহাওয়া ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সর্দি-কাশিতে ভোগেন অনেকেই। শীতে আসতেই সাইনোসাইটিস কিংবা ধুলাবালির কারণে কিংবা অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়ে যায়।
- আরো পড়ুন: অ্যাকজিমা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
- আরো পড়ুন: টমেটো করবে ত্বকের সমস্যার সমাধান!
- আরো পড়ুন: ওমিক্রনের লক্ষণে ত্বকের যেসব সমস্যা হতে পারে
এর ফলে সর্দিতে নাক বন্ধভাব হয়। যা খুবই বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। তার উপর এখন আবার করোনা আতঙ্ক বেড়ে চলেছে। সব মিলিয়ে এখন সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঠান্ডায় নাক বন্ধ যা করণীয়
এ বিষয়ে ভারতের হায়দ্রাবাদের কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক রণবীর সিং জানিয়েছেন,‘শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে নাক দিয়ে জল পড়া, গলা খুসখুস, চোখে লাল ভাব, কাশি এগুলো খুব সাধারণ বিষয়। একই সাথে না বন্ধ হওয়াটাও স্বাভাবিক।’
তিনি বলে, ‘নাকবন্ধ আসলে শরীরের প্রদাহের সঙ্গে জড়িত। অনুনাসিক গহ্বরের একটি আস্তরণ যখন অতিরিক্ত প্রদাহের মাধ্যমে নাসারন্ধ্রতে সমস্যা সৃষ্টি করে, তখনই বায়ু চলাচলের প্যাসেজগুলো সরু হয়ে গিয়ে বায়ুপ্রবাহকে সংকুচিত করে। ফলে নাক দিয়ে শ্বাস নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে।’
এমন ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন নাকবন্ধ থাকতে পারে। কোনও গন্ধ পাওয়া যায় না। এতে নাকের ভেতরের জ্বলীয়ভাব ক্রমশ স্ফীত হতে থাকে, ফলে সর্দি ও কফ যুক্ত কাশির সৃষ্টি হতে পারে।’
কীভাবে নাকের বন্ধভাব থেকে আরাম মিলবে?
এই চিকিৎসক জানান, অ্যান্টিহিস্টামিন কিংবা নাকের জন্য ব্যবহৃত নানা ধরনের স্টেরয়েড আপনার কাজে আসতে পারে। আবার অনেকে নাকের জন্য প্রয়োজনীয় স্যালাইন ব্যবহার করতে পারেন।
এ ছাড়াও বারবার ঠান্ডা পানি দিয়ে নাক ধুলেও সমস্যা কমতে পারে। এতে শ্বাস নেয়ার অসুবিধা দূরে হবে। প্রতিদিনের ন্যাসাল ড্রপের সঙ্গে অ্যালার্জিক রেনাইটিসও কিন্তু কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।
- আরো পড়ুন: মলত্যাগে ব্যথা ও রক্তক্ষরণ হলে কী করবেন?
- আরো পড়ুন: মেদ কমাতে জীবনধারায় আনুন ৫ পরিবর্তন
- আরো পড়ুন: পুরুষের অ্যান্ড্রোপজ কী?
এ সময়ে নাকে শ্লেষ্মা, ধুলো, বালি, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জমতে পারে। শীতে সারা শরীরের সাথে নাসারন্ধ্র ও তার সংলগ্ন পর্দা সবকিছুই শুকিয়ে থাকে, তাই জীবাণুর বাসা বাঁধার জন্য এটি আদর্শ স্থান।
এজন্য বারবার নাক ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। ভালো করে সাইনাসনালী পরিষ্কার করুন। ন্যাসাল ড্রপ ব্যবহারে সাইনাসনালী আর্দ্র থাকে। প্রয়োজনে অ্যাসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু শ্বাসযন্ত্রের উপযোগী ব্যায়াম করলে উপকার মিলবে।
এসবের পাশাপাশি শীতে বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় ফল যেমন আমলকি খাওয়া অভ্যাস করুন। যেহেতু শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে তাই এ সময় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি খেতে হবে। আর একটি আমলকিতে কমলার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি থাকে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।