জেনে নিন ডাটা এন্ট্রি করে আয় করবেন যেভাবে । আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। এর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি এখন বেশ পরিচিত একটি মাধ্যম সবার কাছে। ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে মূলত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডাটা ইনপুট করা। এই ডাটা এন্ট্রি বিভিন্ন ডিভাইসে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
- আরো পড়ুন: পাইলস কেন হয় ও লক্ষণ
- আরো পড়ুন: কারবালা যুদ্ধে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগের মর্মকথা
- আরো পড়ুন: যেসব ইবাদত অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত
কোনও টেক্সট ইনপুট থেকে শুরু করে কোনো প্রোগ্রামের ডাটা স্প্রেডশিটে সরবরাহ করা পর্যন্ত সকল কাজ ডাটা এন্ট্রির অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়াও ডকুমেন্ট স্ক্যান করা বা অডিও ফাইলকে লেখায় পরিণত করাকেও ডাটা এন্ট্রির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অর্থাৎ যেকোনো ধরনের ডাটা এন্টার বা ইনপুট এর কাজই ডাটা এন্ট্রি হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইন্টারনেট মানেই ডাটার বিশাল এক সমারোহ। আপনিও চাইলে ঘরে বসেই এই কাজটি করে আয় করতে পারেন। কম পরিশ্রম এবং ঘরে বসেই কাজটি করা যায়। আর এজন্য বয়স কোনো বাঁধা নয়। যেকোনো বয়সী নারী-পুরুষ সবাই কাজটি করতে পারবেন।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ডাটা এন্ট্রি করে আয় করবেন যেভাবে
১. এ জন্য আপনার যা প্রয়োজন-আপনার দ্রুত টাইপ করার দক্ষতা থাকতে হবে। সেই সাথে ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করা, বেসিক ইংরেজি জ্ঞান, কাজ বুঝে নেয়ার দক্ষতা, ওয়ার্ড ও এক্সেল ব্যবহারের জ্ঞান থাকতে হবে।
২. এবার আপনাকে যেকোনো একটি ওয়েবসাইট থেকে কাজ খুঁজে নিতে হবে। ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপলপার আওয়ার এর মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যাবে। অনেক কোম্পানি প্রতিদিনই এসব ওয়েবসাইটে ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য লোক খোঁজে। আপনি যদি টাইপিংয়ে যথেষ্ট দক্ষ হন ও নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে জানেন, তবে খুব সহজে প্রচুর ডাটা এন্ট্রির কাজ পেতে পারেন।
৩. এছাড়াও একই ক্লায়েন্ট থেকে ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা থাকে। তাই মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মসমূহে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করা যেতে পারে।
৪. ক্যাপচা এন্ট্রি ডাটা এন্ট্রির কাজসমূহের মধ্যে সবচেয়ে সহজ বলে যে কেউ এটি করতে পারে। ক্যাপচা দেখে দেখে তাতে থাকা লেখা ইনপুট করার কাজই হচ্ছে ক্যাপচা এন্ট্রি। তবে সহজ হওয়ায় এই কাজ পাওয়া অধিক কঠিন। ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয়ের পরিমাণ নির্ণয় করে টাইপিং স্পিডের উপর। তাই ক্যাপচা এন্ট্রি থেকে আয় করতে হলে ভালো টাইপিং স্পিড থাকা আবশ্যক।
৫. কপি করে পেস্ট করা ডাটা এন্ট্রির অন্যতম একটি উপায়। নাম শুনেই বুঝে থাকবেন যে এটি সবচেয়ে সহজ ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ। এই কাজে শুধুমাত্র এক ফাইল থেকে অন্য ফাইলে কোনো লেখা কপি করে (ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা এক্সেল স্প্রেডশিটে) পেস্ট করতে হয়। সাধারণ ইংরেজি বুঝার ক্ষমতা রয়েছে এমন যে কেউ এই সহজ কাজ করে আয় করতে পারেন।
৬. ই-মেইল রিডিং বা ই-মেইল প্রসেসিং একটি জনপ্রিয় ডাটা এন্ট্রির ধরন। এই ক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদত্ত মেইলসমূহ প্রসেস করতে হয়। ই-মেইল প্রসেসিং এর কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময় কাজের সাথেই কীভাবে কী করতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে। এই কাজ হতে পারে ইমেইল গুছিয়ে লেখা কিংবা প্রদত্ত ই-মেইল এড্রেসসমূহে মেইল ফরওয়ার্ড করা। যতটা সহজ মনে হলো আদতে ততটা সমজ নয়। এ জন্য আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে খুবই ভালো।
৭. বিভিন্ন ক্যাটালগ থেকে ডাটা কালেক্ট করে ওয়েব সিস্টেমে সংগ্রহকৃত তথ্য লেখা ডাটা এন্ট্রির অন্যতম কাজ। বিভিন্ন ধরনের ডাটা বা তথ্য লেখা এই ক্যাটাগরির কাজের অন্তর্ভুক্ত। প্রদত্ত সোর্সকে কাজে লাগিয়ে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা এক্সেল স্প্রেডশিটে তথ্য সাজানো হয়।
- আরো পড়ুন: পোল্যান্ডের সেরা ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিংক সহ ও ভর্তির নিয়ম
- আরো পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর
- আরো পড়ুন: বিকেএসপিতে জনবল নিয়োগ
৮. ডাটা ফরম্যাটিং হচ্ছে প্রদত্ত ডাটাকে সঠিকভাবে সাজানোকে বুঝানো হয়েছে। এই ধরনের কাজে বিশাল ডাটাকে সঠিক ও সুন্দরভাবে সাজাতে হয়। আয়ের পরিমাণ অধিক হওয়ার পাশাপাশি শ্রমের পরিমাণ বেশি প্রয়োজন হয় ডাটা ফরম্যাটিং এর কাজের ক্ষেত্রে।
৯. ডাটা এন্ট্রির কাজের মধ্যে অন্যতম আর একটি কাজ হচ্ছে অডিও টু টেক্সট। যেকোনো অডিও শুনে শুনে তা ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড লেখা ডাটা এন্ট্রির আরেকটি ক্যাটাগরি। এতে সাধারণত কোনও বিষয় ইংরেজিতে শুনে তা লিখতে হয়, তাই এই কাজ করতে হলে অবশ্যই ইংরেজি ভাষা শোনার ও শুনে লেখার প্রখর জ্ঞান প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজগুলোর জন্য বেশ অংকের অর্থ পাওয়া যায়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।