জেনে নিন ডায়াবেটিসেও খেতে পারেন যেসব ফল । আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ফলাহার ভীতি কাজ করে। বেশিরভাগ ফলে মিষ্টি উপাদান বেশি, তাই অনেক ডায়াবেটিস রোগী ফল খেতে ভয় পান। কিছু ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার বয়ে আনে।
ডায়বেটিসেও কিছু মিষ্টি খাবার খাওয়া যায়। কিছু ফল আছে যেগুলো খেলে ডায়বেটিস রোগীদের শরীরের ক্ষতি না করে বরং উপকার বয়ে আনবে।
- আরো পড়ুন: ডেন্টাল ক্যারিজ কেন হয়, যা করণীয়
- আরো পড়ুন: ঘুরে আসুন চিনামাটির পাহাড়ে সবুজে ঘেরা অপরূপ জায়গা
- আরো পড়ুন: শান্ত দীঘির জলের সৌন্দর্য দেখতে ঘুরে আসুন ছালড়া
এসব ফল প্রদাহের মাত্রা কমানো থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপের বিরুদ্ধে লড়ে। এতে থাকা প্রচুর ভিটামিন ও খনিজের উপস্থিতিতে মিলবে স্বাস্থ্য উপকারও।
ডায়াবেটিসেও খেতে পারেন যেসব ফল
১. আপেল
আপেলের মিষ্টি স্বাদ আপনার ডায়াবেটিসে কোনও ক্ষতি না করে বরং এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান উপকারী হিসেবে কাজ করবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, আপেল পরিমিত মাত্রায় খেলে তা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সাথে লড়াই করে।
২. অ্যাভোকেডো
বাজারে এখন অনেক দেখা যায় বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো। এটি স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ২০ টিরও বেশি ভিটামিন ও খনিজের একটি দুর্দান্ত উত্স। এতে ফাইবারের পরিমাণও বেশি থাকে এবং এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমাতে সহায়তা করে।
৩. পেঁপে
পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার করে থাকে। এটি প্রাকৃতিক জারণে সমৃদ্ধ আর এটি কোষের ক্ষতির সম্ভাবনা কমায়। এতে ফ্লাভোনয়েডের মতো প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. বেরি জাতীয় ফল
বিভিন্ন বেরি জাতীয় ফল আপনার মিষ্ট খাবার খাওয়ার ইচ্ছে পূরনের পাশাপাশি ডায়াবেটিসে উপকার করতে পারে। এ জন্য আপনি ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি বা স্ট্রবেরি বেছে নিতে পারেন। কারণ এ ফলগুলোর সবটাতেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ শক্তিতে ভরপুর।
৫. কামরাঙা
এই ফলটি ফাইবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আর এটি প্রদাহবিরোধী প্রক্রিয়াগুলোকেও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এবং কোষের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে। তাই এ ফলটি আপনি খেতে পারেন ডায়াবেটিসেও।
- আরো পড়ুন: গুগল এ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৫ কোটি টাকা আয় করবেন যেভাবে
- আরো পড়ুন: গুগল এ্যাডসেন্সের প্রোগ্রাম নীতি
- আরো পড়ুন: গুগল এ্যাডসেন্সের জন্য আপনার সাইটের পৃষ্ঠা তৈরি আছে তো?
৬. নাশপাতি
নাশপাতি পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই এবং হজমের উন্নতিতে অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে নাশপাতি খাওয়া টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
৭. কমলা
কমলা একটি ফাইবার পরিপূর্ণ ফল আর এটি রক্তে শর্করার শোষণকে ধীর করতেও সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া কমলায় ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফাইবারের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি পাওয়ার হাউস।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।