ডেস্কটপ-ল্যাপটপ নিরাপদ রাখার উপায়

জেনে নিন ডেস্কটপ-ল্যাপটপ নিরাপদ রাখার উপায় সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে আমরা নানা সময় আলোচনা করে থাকি। হ্যাকার শুধু আপনার স্মার্টফোনের দিকেই নজর দিয়ে বসে থাকবে না। তার নজর আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপেও থাকতে পারে। এজন্য আপনাকে থাকতে হবে সতর্ক। এ ছাড়াও কিছু পরামর্শ মেনে চললে নিরাপদ রাখতে পারবেন আপনার ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপটি।



পরামর্শগুলো দিয়েছে স্বয়ং সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। আপনার ডেস্কটপ-ল্যাপটপ নিরাপদ রাখার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখুন-

১. পিসিতে ফায়ারওয়াল অন রাখুন। এখন কিন্তু উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ফায়ারওয়াল সহই আসে। এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চালু থাকে এটি। চাইলে আলাদা করে তৃতীয় পক্ষীয় ফায়ারওয়ালও ব্যবহার করতে পারেন।

২. সব সময় আপনার পিসি আপ টু ডেট রাখুন। মাইক্রোসফট অফিস এবং অন্যান্য মাইক্রোসফট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য স্বয়ংক্রিয় আপডেট চালু রাখুন আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে। বিশেষ করে ব্রাউজার, অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট রিডার এবং আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন এমন অন্যান্য অ্যাপগুলোর জন্য অবশ্যই স্বয়ংক্রিয় আপডেট চালু রাখা জরুরি।

৩. অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। আপনি যদি সর্বশেষ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করে থাকেন। তাহলে সেটাতে এরইমধ্যে উইন্ডোজ সিকিউরিটি ফিচার বা উইন্ডোজ ডিফেন্ডার সিকিউরিটি সেন্টার ইনস্টল করাই আছে।

৪. কিছুদিন পর পর নিশ্চিত হোন যে আপনার পাসওয়ার্ডগুলো নিরাপদ আছে। পাসওয়ার্ড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। যেমন ধরুন, অন্য কারও পক্ষে আপনার পাসওয়ার্ড অনুমান করা সম্ভবনা হয় সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখুন। এ ছাড়াও পাসওয়ার্ডে স্মল লেটার, ক্যাপিটাল লেটার এবং সংখ্যার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে মাইক্রোসফট।

৫. অ্যাটাচমেন্ট থেকে সর্বদা সতর্ক থাকুন। ই-মেইল বা কোনো মেসেজ সেবায় পাওয়া সন্দেহজনক অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না। মেসেজ বা ইমেইলে আসা অস্বাভাবিক লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে সাবধান হোন। শুধু ই-মেইল বা মেসেঞ্জার নয়, কোনও টুইট, সামাজিক মাধ্যম পোস্ট, অনলাইন বিজ্ঞাপন বা পরিচিত এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে আসা বার্তায়ও আসতে পারে ক্ষতিকর লিঙ্ক।



৬. ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাবধান হোন। সম্ভাব্য অবৈধ সামগ্রীর প্রস্তাব দেয় এমন সব সাইট ভিজিট করবেন না। এমন অনেক সাইট আছে, যেখানে আপনি ব্রাউজ করা অবস্থাতেই ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে দিতে পারে আপনার পিসিতে। কিংবা বলা হলো ম্যালওয়্যার রয়েছে এমন ফাইল ডাউনলোড করুন। ভুলেও সেই সব ফাইল ডাউনলোড করবেন না। উল্টো এমন সব ব্রাউজার ব্যবহার করুন। যা ক্ষতিকারক ওয়েবসাইটকে ব্লক করে আপনার কম্পিউটারে ক্ষতিকারক কোড চালনায় বাধা দেয়।

৭. পাইরেটেড চলচ্চিত্র, গান, বই বা অ্যাপ্লিকেশন স্ট্রিমিং বা ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলুন। এগুলোতে ম্যালওয়্যার থাকার আশঙ্কা বেশি। যা আপনার পিসির একেবারে দফারফা অবস্থা করে দিতে পারে।

৮. ল্যাপটপ নিয়ে অফিসে কিংবা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। তবে কখনোই অন্য কারো ইউএসবি বা অন্যান্য ‘এক্সটার্নাল ডিভাইস’ আপনার পিসিতে কানেক্ট করবেন না। আপনার অজান্তেই এসব ডিভাইসে থাকা ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আপনার ল্যাপটপে চলে আসবে।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া প্রোফাইল চিনবেন যেভাবে

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া প্রোফাইল চিনবেন যেভাবে

জেনে নিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া প্রোফাইল চিনবেন যেভাবে। আসুন এ বিষয়ে আলোচনা করে আজকে বিস্তারিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *