তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমযান (হৃদয়ের রোযা) সম্পর্কে আজকের আলোচক ফিরোজ মাহমুদ॥ দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গর রোজা হল হৃদয়। বলা বাহুল্য এই হৃদয় যখনই শরয়ী রোযা রাখবে, তখনই সারা অঙ্গে তা কার্যকর হবে। প্রিয় নবী (স:) বলেন, “জেনে রাখ, দেহের মধ্যে এমন এক মাংস-পিন্ড আছে যা ভালো হলে সারা দেহ ভালো হবে এবং তা খারাপ হলে সারা দেহ খারাপ হবে। শোন ! তা হলো হৃদপিন্ড (অন্তর)”। (বুখারী, মুসলিম)
সুতরাং মুমিনের হৃদয় রমাযান মাসে এবং অন্য মাসেও রোযা রাখে। আর তার রোযা হবে তাকে বিধ্বংসী শির্ক, বাতিল বিশ্বাস, নোংরা চিন্তা-ভাবনা হীন পরিকল্পনা এবং খারাপ কল্পনার মত নিকৃষ্ট উপাদান থেকে খালি করে।
মুমিনের হৃদয় রোযা রাখে অহংকার থেকে। কারণ, বিনয়ই মুমিনকে শ্রদ্ধার পাত্র করে এবং তার সচ্চরিত্রই তাকে পূর্ণ মানবতার রূপদান করে। পক্ষান্তরে অহংকার হল, ন্যায়, হক ও সত্য প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে ঘৃনা ও অবজ্ঞা করার নাম। আর মহানবী (স:) বলেন “প্রত্যেক দাম্ভিক অহংকারী জাহান্নামী হবে।
” (বুখারী, মুসলিম) মুমিনের হৃদয় রোযা রাখে গর্ব করা থেকে। কারণ, “যে ব্যক্তি মনে মনে গর্বিত হয় এবং চলনে অহংকার প্রদর্শন করে, সে ব্যক্তি যখন আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করবে তখন আল্লাহতার প্রতি ক্রোধান্বিত থাকবেন।” (আহমাদ, মুসনাদ)
মুমিনের হৃদয় রোযা রাখে অপরের প্রতি হিংসা করা থেকে, কারন কোন বান্দার হৃদয় ঈমান ও হিংসা একত্রে জমা হতে পারে না। (মুসনাদ)
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এখানে
মুমিনের হৃদয় রোযা রাখে কারো প্রতি বিদ্বেষ পোষন করা থেকে। কারণ “ বিদ্বেষ হল মুন্ডনকারী, তা দ্বীন মুন্ডন (ধ্বংস) করে ফেলে।” (বায়হাকী, তিরমিযী)
মুমিনের হৃদয় রোযা রাখে কৃপণতা থেকে। কারণ, “কোন বান্দার হৃদয়ে ঈমান ও কৃপনতা কখনই একত্রে জমা থাকতে পারে না।” (নাসাঈ)
মুমিনের হৃদয় রোযা রাখে পাপ চিন্তা করা থেকে এবং প্রত্যেক সেই পরিকল্পনা থেকে, যা ঈমানের প্রতিকূল।
তাই আমাদের উচিত আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা।
চলবে…..
লেখক: মাদ্রাসা শিক্ষক ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব
পূর্বে প্রকাশিত: তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমযান (রোযার আদব সমূহ)