আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ এ সপ্তাহের মধ্যেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোথায় পড়বে চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। এটি কোথায় আছড়ে পড়বে তা নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় না থাকাতে মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।
আজ (শুক্রবার ৭ মে) বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৮ টন ওজনের এই ধ্বংসাবশেষ কয়েক দশকের মধ্যে বায়ুমণ্ডলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে বড় মহাকাশ বর্জ্যের অন্যতম।
রকেটের ধ্বংসাবশেষ ঠিক কখন কোথায় এটা আছড়ে পড়বে, তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে মধ্যাকর্ষণের কারণে এটি এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে এসে পৃথিবীতে আঘাত হানবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার ৭ মে) যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা ধ্বংসাবশেষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এখনই এটিকে মিসাইল ছুঁড়ে ধ্বংস করা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, আমরা আশা করছি এটি এমন জায়গায় ধসে পড়বে যেখানে কারো ক্ষতি হবে না। আশা করি সমুদ্র বা এমন জনমানবহীন কোথাও পড়বে এটি। চীনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ ধরণের কোনো পরিকল্পনা এবং অভিযান পরিচালনার সময় অনেক কিছু মাথায় রাখা জরুরি ছিল।
যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ও মহাকাশ বর্জ্য বিশেষজ্ঞ ড. হিউ লুইসের মতে, গত ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে হাজার হাজার মহাকাশ বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে। এর দায় বেশ কয়েকটি দেশের, বিশেষ করে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। মহাকাশ বর্জ্যও পৃথিবীর কক্ষপথে হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে প্রবেশের ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল শুরু হয়েছে। অনেকে মজা করে বলছেন- চীনের করোনার কারণে পৃথিবীবাসীকে মুখে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হচ্ছে। আর এবার রকেটের ধ্বংসাবশেষ থেকে বাঁচতে মাথায় ক্যাপ পরেও চলাফেরা করা লাগবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।