জেনে নিন পাইলস কেন হয় ও লক্ষণ সম্পর্কে। আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। পায়ুপথের রোগগুলোর মধ্যে পাইলস ও ফিস্টুলা অন্যতম। এই রোগে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা না নিতে পারলে বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। অনেক সময় ক্যান্সারও হতে পারে।
- আরো পড়ুন: কারবালা যুদ্ধে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগের মর্মকথা
- আরো পড়ুন: যেসব ইবাদত অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত
- আরো পড়ুন: উপমহাদেশে যার হাতে সূচনা হাদিসের পাঠ
পাইলস কেন হয় ও লক্ষণ
সাধারণত বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভেতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা থাকে। যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। এর নাম হেমোরয়েডস বা পাইলস। যখন পায়ুপথে এসব শিরার সংক্রমণ এবং প্রদাহ হয়, চাপ পড়ে তখন হেমোরয়েডস বা পাইলসে প্রদাহ হয়। যাকে সাধারণ ভাষায় অর্শ্বরোগ বলা হয়।
পাইলসের কারণ ও লক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের বৃহদান্ত ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল হক। পাইলসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিণ্যে ভোগা, পুরনো ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারি মালপত্র বহন করা, স্থুলতা, কায়িক শ্রম কম করা।
গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণে পাইলসের আশংকা বেড়ে যায়। সর্বোপরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোনো কারণে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপ ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়।
লক্ষণ
পাইলসের যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হচ্ছে- পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরের অর্শরোগে সাধারণত তেমন কোনও ব্যথা বেদনা, অস্বস্তি থাকে না, অন্যদিকে পায়ুপথের বহিঃঅর্শরোগে পায়ুপথ চুলকায়, বসলে ব্যথা করে, পায়খানার সাথে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায় বা শৌচ করা টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা লাগা, পায়ুর চারপাশে এক বা একের অধিক থোকা থোকা ফোলা থাকে।
পাইলস সাধারণত ৩ ধরনের হয়ে থাকে। যথা-
- পায়ুপথের বহিঃঅর্শরোগ
- পায়ুপথের অন্ত বা ভেতরের অর্শরোগ
- আবার কখনো ২ অবস্থা একসাথেও থাকতে পারে।
- আরো পড়ুন: পোল্যান্ডের সেরা ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিংক সহ ও ভর্তির নিয়ম
- আরো পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর
- আরো পড়ুন: বিকেএসপিতে জনবল নিয়োগ
পায়ুপথের ভেতরের অর্শরোগ বা পাইলস ফুলে মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসাকে ৪ টি পর্যায় ভাগ করা হয়।
- প্রথম পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে না বা প্রলেপস হয় না)
- দ্বিতীয় পর্যায় (পায়খানার পর পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং তারপর আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়)
- তৃতীয় পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে এবং নিজে ঠিক করতে হয়)
- চতুর্থ পর্যায় (পাইলস ফুলে বাইরে বের হয়ে আসে বা প্রলেপস হয়ে এবং তা আর নিজে ঠিক করা যায় না)
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।